তিন সন্তান ও স্ত্রীকে খুন করে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হল স্বামী। রবিবার কান্দি থানার ভবানীপুর গ্রামের ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন ধৃত উস্তাব আলি শেখের স্ত্রী মাফুজা বিবি(২৪), মেয়ে আমেনা খাতুন(৫), মার্সিদা খাতুন(৩) এবং মাত্র সাত মাসের কন্যা তুহিনা। এ দিন সকালে আধপোড়া বাড়ির ভিতর থেকে তাঁদের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে বেলডাঙা থানা এলাকার বাসিন্দা মাফুজার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল অভিযুক্ত উস্তাবের। বিয়ের বছর দুই পর থেকেই মাফুজার উপরে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে উস্তাব। মাফুজার পরিবারের অভিযোগ, মাফুজা প্রথম কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার পর উস্তাব এক মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। তা জানতে পেরে যান মাফুজা। তার পর থেকেই মাফুজার উপরে নির্যাতন আরও বেড়ে যায়। তাতে বাধা দেওয়াতেই উস্তাব তাঁদের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকালে প্রতিবেশীরা মাফুজাদের কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে কৌতূহলবশত তাঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখেন ঘরে আগুন জ্বলছে। আগুন নেভানোর চেষ্টাও করেন তাঁরা। কিন্তু ততক্ষণে দেহের বেশির ভাগটাই পুড়ে গিয়েছিল মাফুজাদের।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, শনিবার রাতে ঘরের মেঝেতে তিন সন্তানকে নিয়ে বিছানা করে শুয়েছিল মাফুজা। ঘরটির সমস্ত আসবাবপত্রও পুড়ে গিয়েছে। তবে ঘটনার সময় স্থানীয়দের কেউই কোনও আর্তনাদ শুনতে পেলেন না কেন তা ভাবাচ্ছে পুলিশকে। কান্দির এসডিপিও সন্দীপ সেন ও কান্দি থানার আইসি সুনয়ন বসু ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করার পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। মেয়ের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে না।”