ইভটিজিংয়ের অভিযোগ উঠল সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক অভিনব শর্মার এক দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে। শেষমেশ ওই মহিলার কাছে ক্ষমা চেয়ে এবং তাঁর মোবাইলের দাম দেওয়ার পরে ঘটনার ইতি হয়। সোমবার সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশের আগরার ঘটনা।
কী ঘটেছিল ওই দিন?
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এক মহিলা তাঁর বোনকে নিয়ে স্কুটিতে চেপে চিকিত্সকের কাছে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় সিগন্যালে তাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন। সে সময় ওই বিধায়কের দেহরক্ষীর গাড়িটিও তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ায়। অভিযোগ, তখনই গাড়ির ভিতর থেকে ওই মহিলাকে উদ্দেশ্য করে অশালীন অঙ্গিভঙ্গি করেন বিধায়কের এক দেহরক্ষী। মহিলা ওই গাড়িটি থামিয়ে দেহরক্ষীর ছবি তুলতে যান। তখনই বিধায়কের কয়েক জন দেহরক্ষী মহিলার দিকে তেড়ে আসেন। তাঁর হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ফেলে দেন ওই দেহরক্ষীরা। এর জের গড়ায় বহু দূর। ওই মহিলা বিধায়কের নিরাপত্তা বলয় ভেঙে গাড়ির বনেটের উপর উঠে পড়েন। গাড়িতে লাগানো দলের পতাকা খুলে উইন্ডস্ক্রিন ভাঙতে শুরু করেন। এই ঘটনায় রাস্তায় প্রচুর মানুষের ভিড় জমে যায়। থমকে যায় যান চলাচল।
ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে এই অভিনব প্রতিবাদের ছবি মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল সাইটগুলিতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ ছুটে আসে। মহিলাকে গাড়ির বনেট থেকে নামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তাঁরা। মহিলার দাবি ছিল, অভিযুক্ত দেহরক্ষীকে ক্ষমা চাইতে হবে, সেই সঙ্গে ফোনের দামও দিতে হবে। এই নিয়ে ঘণ্টাখানের বাকবিতণ্ডা চলে উভয় পক্ষের মধ্যে। পুলিশ কার্যত অসহায় হয়ে দাঁড়িয়ে এই নাটক চাক্ষুষ করে। অবশেষে ফোনের দাম হিসেবে সাড়ে ৬ হাজার টাকা আদায় এবং অভিযুক্ত দেহরক্ষী ক্ষমা চাওয়ার পর নাটকের সমাপতন হয়!
এই ঘটনা প্রসঙ্গে খোদ বিধায়ক কী বললেন?
তিনি জানান, এই মহিলা যদি তাঁর দেহরক্ষীর এই অশালীন আচরণের কথা জানাতেন, তখনই তিনি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেন। কিন্তু মহিলা সেই সুযোগ না দিয়েই তাঁর গাড়ির কাচ ভাঙতে শুরু করেন। পাশাপাশি, বিধায়কের অভিযোগ, কোনও কারণ ছাড়াই ওই মহিলা তাঁর গাড়ির ক্ষতি করেছেন। সেই সঙ্গে তাঁকে অসম্মানও করেছেন। অভিযোগকারিণীর বক্তব্য, “আমার কাজে কোনও সাহসিকতা নেই। অন্য কারও সঙ্গে এই ঘটনা ঘটলে সে-ও একই ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাত।”