বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সোমবার কর্নাটক হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলেন এআইএডিএমকে সুপ্রিমো জয়ললিতা। শাস্তি ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত রদ করার আর্জি জানিয়ে তাঁর আইনজীবী হাইকোর্টে দু’টি পিটিশন দাখিল করেন। অন্য তিন অভিযুক্ত— শশীকলা, সুধাকরণ এবং ইলাবরসীও এ দিন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তিন বছরের বেশি সাজা হওয়ায় জয়ললিতার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করতে পারে একমাত্র উচ্চ আদালত। কিন্তু দশেরার কারণে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত কর্নাটক হাইকোর্টের সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। সে ক্ষেত্রে ‘ভ্যাকেশন বেঞ্চ’ তৈরি করে মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হবে বলে সূত্রের খবর। ওই দিন কর্নাটক হাইকোর্ট জয়ললিতার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে কি না সে দিকে তাকিয়ে এআইএডিএমকে থেকে শুরু করে গোটা দেশ।
জয়ললিতাকে গ্রেফতারের পর উত্তাল হয়ে উঠেছিল তামিলনাড়ুর বিভিন্ন প্রান্ত। ‘আম্মা’র সমর্থকরা প্রতিবাদমুখর হন। কেউ কেউ আবার আত্মাহুতি দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি সামলাতে সে দিন প্রশাসনের নাভিশ্বাস উঠেছিল। গত দু’দিন ধরে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ, মিছিল প্রতিবাদের ঝড় বইছে আম্মার সমর্থনে। সোমবারও তার অন্যথা হল না। তবে রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন আন্দোলন, প্রতিবাদ জারি থাকলেও কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির খবর পাওয়া যায়নি।
উত্তাল রাজ্য-রাজনীতির মধ্যেই এ দিন মুখ্যমন্ত্রিত্বের শপথ নিলেন ও পনিরসেলভাম। শপথ নোয়ার সময় তাঁকে কেঁদে ফেলতেও দেখা যায়। রবিবারই দলীয় তরফে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে জয়ললিতা-ঘনিষ্ঠ পনিরসেলভামের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর আয়বহির্ভূত সম্পত্তির মামলায় জয়ললিতা-সহ চার জনকে দোষী সাব্যস্ত করে বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে চলা এই মামলার রায় নিয়ে ওই দিন রাজ্য ও দেশীয় রাজনীতিতে ছিল চরম উত্তেজনা আর উত্কণ্ঠা। বিচারপতি জন মাইকেল ডি’কুনহা সে দিন তাঁর রায়ে তামিলনাড়ুর ‘আম্মা’র ভাগ্য বদলে দেন এক লহমায়। চার বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনানোর পাশাপাশি ১০০ কোটি টাকা জরিমানাও ধার্য করেন তিনি। রায় ঘোষণার পরই গত তিন দিন ধরে তাঁর ঠিকানা বেঙ্গালুরুর পারাপান্না সেন্ট্রাল জেলের ২৩ নম্বর সেল।