মঙ্গলবার বোলপুরে সাজিদকে সঙ্গে নিয়ে এনআইএ। ছবি: বিশ্বজিত্ রায়চৌধুরী।
খাগড়াগড় কাণ্ডের সাক্ষীদের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সেই সঙ্গে তদন্তে উদ্ধার এবং বাজেয়াপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণেরও নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার নগর দায়রা আদালতের মুখ্য বিচারক মুমতাজ খানের এজলাসে এই আবেদন করেন এনআইএ-র আইনজীবী শ্যামল ঘোষ। তবে এ দিন আদালত এ ব্যাপারে কোন নিদের্শ দেয়নি।
এনআইএ-র আইনজীবী জানান, ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও পযর্ন্ত পাঁচ জন সাক্ষীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। তাঁদের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
এ দিন বেলা দেড়টা নাগাদ কঠোর নিরাপত্তায় হাকিম এবং খালিদকে আদালতে নিয়ে আসেন তদন্তকারীরা। ঘন্টাখানেক বাদে বীরভূম থেকে সোজা আদালতে আনা হয় আরেক অভিযুক্ত সাজিদকে। গত পাঁচদিন ধরে ওই তিন জন এনআইএ-র হেফাজতে ছিল।
আদালতে এনআইএ-র আইনজীবী জানান, ধৃতদের সঙ্গে নিয়ে মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বর্পূণ নথি উদ্ধার এবং বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ দিন আদালতে ধৃতদের জেল হেফাজতের আবেদন করে এনআইএ। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করে তিন জনকে ৫ ডিসেম্বর পযর্ন্ত জেল হেফাজতের নিদের্শ দেন। এনআইএ সূত্রের খবর, ওই দিন বাকি ধৃতদেরও আদালতে তোলা হবে।