খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে পলাতকদের হদিস পেতে এ বার পুরস্কার ঘোষণা করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। তদন্তে নামার তিন সপ্তাহের মাথায়। শুক্রবার এনআইএ জানিয়েছে, পলাতক ১২ জনের হদিস দিতে পারলে মোটা টাকা পুরস্কার পাওয়া যাবে। তাদের মধ্যে পাঁচ জনের জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে, তিন জনের জন্য পাঁচ লক্ষ করে ও বাকি চার জনের প্রত্যেকের জন্য তিন লক্ষ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। ওই ১২ জনের তালিকায় অবশ্য কোনও মহিলা নেই। যদিও বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গের অন্তত আট জন মহিলার খোঁজ করা হচ্ছে বলে এনআইএ সূত্রের খবর।
এ দিনই আবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) খাগড়াগড় কাণ্ডে একটি পৃথক মামলা রুজু করেছে। খাগড়াগড়ে ঘাঁটি গাড়া সন্ত্রাসবাদীদের কারা, কোথা থেকে টাকা দিত, সেটাই ইডি তদন্ত করে দেখবে।
এনআইএ জানিয়েছে, ফেরার সাজিদ, নাসিরুল্লা, ইউসুফ, কওসর ও তালহা— এই পাঁচ জনের প্রত্যেকের ক্ষেত্রে তাদের হদিস দিতে পারলে কিংবা তাদের গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে সহায়ক কোনও তথ্য দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। আবার হবিবুর রহমান শেখ, আমজাদ ও হাতুড়ে ডাক্তার শাহনুর আলম— এই তিন জনের প্রত্যেকের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা পুরস্কার। আর তিন লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে বুরহান, রেজাউল করিম, আবুল কালাম ও জহিরুল শেখের উপর। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এই ১২ জনের মধ্যে হাতুড়ে ডাক্তার শাহনুর আলম অসমের বরপেটা থেকে ফেরার, বাকি ১১ জন পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও বর্ধমান— এই চার জেলা এবং কলকাতা থেকে পলাতক।
গত ২৪ অক্টোবর এনআইএ-র ডিজি শরদ কুমার পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে খাগড়াগড়ের ঘটনাস্থল-সহ বিভিন্ন সন্দেহজনক জঙ্গিডেরা পরিদর্শন করেন। তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে এক বৈঠকে শরদ কুমার নির্দেশ দেন, পলাতকদের গ্রেফতার করতে এ বার উঠেপড়ে লাগতে হবে। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, পলাতকদের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হবে।
১২ জনের এই তালিকায় থাকা সাজিদ, নাসিরুল্লা, কওসর ও তালহা বাংলাদেশি বলে তদন্তকারীদের সন্দেহ।
নাম
পুরস্কার মূল্য
সাজিদ
১০ লক্ষ টাকা
নাসিরুল্লা
১০ লক্ষ টাকা
ইউসুফ
১০ লক্ষ টাকা
কওসর
১০ লক্ষ টাকা
তালহা
১০ লক্ষ টাকা
হাবিবুর রহমান শেখ
৫ লক্ষ টাকা
আমজাদ
৫ লক্ষ টাকা
শাহনুর আলম
৫ লক্ষ টাকা
বুরহান
৩ লক্ষ টাকা
রেজাউল করিম
৩ লক্ষ টাকা
আবুল কালাম
৩ লক্ষ টাকা
জহিরুল শেখ
৩ লক্ষ টাকা