আকাশে মালয়েশীয় বিমান। ছবি: এএফপি।
খারাপ আর্থিক অবস্থার জন্য ছ’হাজার কর্মী ছাঁটাই করছে মালয়েশীয় এয়ারলাইন্স। পরিকল্পনা অনুযায়ী লোকসনা চলা এই সংস্থাকে ২০১৮-এর মধ্যে ঘুরে দাঁড়াতে এই ছাঁটাই জরুরি বলে মনে করছেন সংস্থার কর্তৃপক্ষ।
বেশ কয়েক বছর ধরেই মালয়েশীয় এয়ারলাইন্সের আর্থিক অবস্থা খারাপ হচ্ছিল। কিন্তু অবস্থা আরও খারাপ হয় এমএইচ-৩৭০ এবং এমএইচ-১৭-র ঘটনার পরে। মার্চে এমএইচ-৩৭০ নিখোঁজ হয়ে যায়। এখনও বিমানটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি যৌথ উদ্যোগে বিমানটির সন্ধানের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে মালয়েশিয়া সরকারের চুক্তি হয়েছে।
এমএইচ-৩৭০-এর রেশ কাটতে না কাটতেই জুলাই মাসে পূর্ব ইউক্রেনের আকাশে ধ্বংস হয়ে যায় এমএইচ-১৭। নিহত হন ২৯৪ জন যাত্রী। রুশপন্থী ইউক্রেনের জঙ্গিদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি ধ্বংস হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের তদন্ত চলছে। এই জোড়া ধাক্কায় মালয়েশীয় এয়ারলাইন্সের যাত্রী সংখ্যা দ্রুত কমতে থাকে যা প্রায় মরার উপরে খাঁড়ার ঘায়ের মতো। ফলে কর্মী ছাঁটাইয়ের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই সংস্থায় এখন প্রায় ২০ হাজার কর্মী কাজ করেন। তবে শুধু কর্মী ছাঁটাইয়েই থেমে থাকছেন না কর্তৃপক্ষ। তাঁরা ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য প্রায় দু’বিলিয়ন ডলারের একটি আর্থিক পরিকল্পনা তৈরি করেছেন। প্রথমে নানা ভাবে সংস্থার পরিচালনার খরচ কমিয়ে আনা হচ্ছে। অলাভজনক রুটে বিমান চালানো বন্ধ করা হচ্ছে। কমিয়ে আনা হচ্ছে রুটের সংখ্যাও। মালয়েশীয় এয়ারলাইন্সের ৬৯ শতাংশের মালিকানা ‘খাজানাহ নাসিওনাল’ সংস্থার হাতে। আর্থিক পুনগর্ঠনের পরে এই সংস্থাটি এয়ারলাইন্সের ১০০ শতাংশ মালিকানা পাবে। ১ জুলাই ২০১৫ থেকে নতুন সংস্থা কাজ শুরু করবে। তবে তার আগে ২০১৪-র শেষের দিকে সংস্থাটিকে মালয়েশীয় স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।