টিমসিপি নেতাকে মার, মিনাখাঁয় অভিযুক্ত বিজেপির ছাত্র সংগঠন

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মিনাখাঁ শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৪ ১৯:০৪
Share:

অনলাইনে ছাত্র ভর্তির দাবিতে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিতে গেলে শুক্রবার সকালে কলেজের বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) সমর্থকদের সঙ্গে বচসা বাধে টিএমসিপির। তার জেরে রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে মিনাখাঁর বামনপুকুর হুমায়ুন কবীর মহাবিদ্যালয়ের টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি সমীরণ মণ্ডলের মাথায় রিভালবার ঠেকিয়ে মারধরের অভিযোগে উঠল এবিভিপি-র কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে টিএমসিপি।

Advertisement

অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দাবি, নিজেদের অন্যায় ঢাকতে ঘটনা সাজিয়ে পড়ুয়াদের সহানুভূতি আদায় করার চেষ্টা করছে টিএমসিপি। সমীরণকে প্রথমে মিনাখাঁ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শনিবার সেখান থেকে তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে ওই কলেজে যখন ভর্তি প্রক্রিয়া চলছিল, তখন অনলাইনে ভর্তি নেওয়ার দাবিতে অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিতে যান কলেজের এবিভিপি ইউনিটের ছাত্রেরা। অভিযোগ, টিএমসিপি তাদের বাধা দেয়। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। পুলিশের তত্‌পরতায় তখনকার মতো মিটেও যায়।

Advertisement

টিএমসিপির দাবি, এর পরে কলেজ ছুটি হয়ে যাওয়ার পরে ব্লক অফিসে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার জন্য রওনা দেন সমীরণ। রাত ৯টা নাগাদ তিনি যখন নদী পেরোনোর জন্য মালঞ্চ ফেরিঘাটে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন এবিভিপি-র কয়েক জন এসে তাঁকে অতর্কিতে আক্রমণ করে। সমীরণের মাথায় রিভালবার ঠেকিয়ে তাঁকে রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। গলায় ও বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। সমীরণের দাবি, তাঁকে মার খেতে দেখে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে পালায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে মিনাখাঁ হাসপাতালে ভর্তি করেন। শনিবার বসিরহাট জেলা হাসপাতালে শুয়ে সমীরণ বলেন, “সময়মতো লোকজন এসে না পড়লে আমাকে ওরা খুন করে ফেলত।” জেলার যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুবীর সরকার বলেন, “কলেজে ভর্তির বিষয় নিয়ে সামান্য বচসা হয়েছিল। তা নিয়ে বিজেপির ছাত্র সংগঠনের ছেলেরা এ ভাবে আক্রমণ করে খুনের চেষ্টা পর্যন্ত করবে, তা ভাবতে পারিনি। তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি।”

বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিত্‌ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন