ফের আক্রান্ত পুলিশ, ধৃত ৬

পাড়ুইয়ের ঘটনার রেশ মেলাতে না-মেলাতেই ফের আক্রান্ত পুলিশ! এ বারের ঘটনাস্থল বর্ধমানের দুর্গাপুর সাব-ডিভিশনের অন্ডাল। অভিযোগ, শনিবারের রাতে জুয়ার ঠেক সরাতে পুলিশি অভিযানের সময় স্থানীয়দের হাতে আক্রান্ত হয় অন্ডাল থানার পুলিশ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, অভিযানের নামে গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে পুলিশ। সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্ত ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত অন্ডাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাদাতা

অন্ডাল শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৪ ১৯:৫৩
Share:

পাড়ুইয়ের ঘটনার রেশ মেলাতে না-মেলাতেই ফের আক্রান্ত পুলিশ! এ বারের ঘটনাস্থল বর্ধমানের দুর্গাপুর সাব-ডিভিশনের অন্ডাল। অভিযোগ, শনিবারের রাতে জুয়ার ঠেক সরাতে পুলিশি অভিযানের সময় স্থানীয়দের হাতে আক্রান্ত হয় অন্ডাল থানার পুলিশ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, অভিযানের নামে গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে পুলিশ। সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্ত ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত অন্ডাল।

Advertisement

ঠিক কী ঘটেছিল শনিবার?

পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার রাত ১০টা নাগাদ অন্ডালের কাজোরা ডাঙাপাড়ায় জুয়ার ঠেক সরাতে পুলিশি অভিযান করা হয়। কিন্তু ওই এলাকায় ঢোকার মুখে প্রথমেই গ্রামবাসীদের বাধার সম্মুখীন হয় অন্ডাল থানার পুলিশ বাহিনী। গ্রামবাসীদের একাংশ মারমুখী হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁদের বাধার মুখে পড়ে প্রাথমিক ভাবে পিছিয়ে এলেও পরে র‌্যাফ নিয়ে ফের এলাকায় যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এর পরে গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের উপর ঢিল ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি সামলাতে গ্রামবাসীদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। গ্রামবাসীদের দাবি, পুলিশের লাঠির হাত থেকে রক্ষা পেতে এলাকায় সিপিএমের শাখা কার্যালয়ে আশ্রয় নেন তাঁরা। এর পর সেখানে ঢুকে অভিযুক্ত ছয় জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনার পরে সরব হন স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, অভিযানের নামে তাঁদের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে পুলিশ। প্রশাসনের নির্দেশেই তাঁদের কর্মী-সর্মথকদের উপর হামলা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তাঁরা। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের বক্তব্য, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই দিন গ্রামে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের পাল্টা অভিযোগ, ধৃতদের ছাড়াতে অন্ডাল থানার এক কনস্টেবলকে বেধড়ক মারধর করেন গ্রামবাসীরা।

Advertisement

এ দিন দুপুরে ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন