বোমা মেরে কৃষ্ণনগরে খুন শিক্ষককে

সমাজবিরোধীদের হাতে খুন হলেন কৃষ্ণনগরের এক তরুণ শিক্ষক। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম উত্তম সিকদার (৩২)। তিনি নদিয়ার কৃষ্ণনগরের আসাননগরের বাসিন্দা ছিলেন। খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৪ ২০:৫২
Share:

মৃত উত্তম সিকদার।

সমাজবিরোধীদের হাতে খুন হলেন কৃষ্ণনগরের এক তরুণ শিক্ষক। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম উত্তম সিকদার (৩২)। তিনি নদিয়ার কৃষ্ণনগরের আসাননগরের বাসিন্দা ছিলেন। খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

সরকারি স্কুলের শিক্ষক উত্তমবাবু গত আট বছর ধরেই এলাকায় কালীপুজোর আয়োজন করে আসছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিসর্জনের পরে তিনি এলাকার বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে বন্ধুদের সঙ্গে গল্পগুজব করছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেই সময় ওখানে উপস্থিত হয় প্রসেনজিৎ মল্লিক নামে এক যুবক। মত্ত অবস্থায় অসংলগ্ন আচরণের জন্য সেখান থেকে তাকে চলে যেতে বলেন উত্তমবাবু। তখনকার মতো প্রসেনজিৎ সেখান থেকে চলেও যায়। কিন্তু কিছু ক্ষণ পরেই একটি মোটরবাইকে চড়ে ফিরে আসে সে। এ বার তার সঙ্গী ছিল দুই সাকরেদ সুবীর বিশ্বাস ও সোমনাথ মল্লিক। অভিযোগ, খুব কাছ থেকে উত্তমবাবুকে লক্ষ করে বোমা ছোড়া হয়। বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হন উত্তমবাবু এবং তাঁর এক বন্ধু বিশ্বনাথ মণ্ডল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান উত্তমবাবু। বিশ্বনাথবাবুকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

\

Advertisement

শোকার্ত বাবা-মা। শনিবার সুদীপ ভট্টাচার্যের তোলা ছবি।

এই ঘটনার পরেই উত্তমবাবুর কাকা কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে কোতোয়ালি থানার তরফে এলাকার থানাগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়। এর পরে গত রাতেই গাংনাপুর থেকে অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement