মঙ্গলবার রাত দু’টো নাগাদ দুর্গাপুরের ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার ঝাঁঝড়া কোলিয়ারির এমআইসিতে তৃতীয় পালিতে কাজ করতে নেমে বুধবার সকাল ৬ টা নাগাদ বেল্টে শরীর আটকে গিয়ে মৃত্যু হয় কোলিয়ারির এক শ্রমিকের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শ্রমিকের নাম গণেশচন্দ্র ঘোষ (৪৭)। তাঁর বাড়ি স্থানীয় কালীপুরে। মৃত শ্রমিকের নিকট আত্মীয়ের চাকরির দাবিতে খনির উৎপাদন বন্ধ রেখে মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখায় কোলিয়ারির সব ক’টি শ্রমিক সংগঠন।
খবর পেয়ে চিকিৎসক ও খনির আধিকারিকরা দ্রুত খনিগর্ভে নামেন। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কোলিয়ারি ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গণেশবাবু বেল্ট অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন। এর পরেই ওই কোলিয়ারির সিটু, আইএনটিইউসি ও আইএনটিটিইউসি’র সমর্থকরা মৃতের নিকট আত্মীয়কে চাকরি দেওয়ার দাবি জানান। খনি কর্তৃপক্ষ দেহ তুলতে গেলে বাধাও দেওয়া হয়।
আইএনটিইউসি প্রভাবিত কোলিয়ারি মজদুর ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ নাসিরুদ্দিন বলেন, “গণেশবাবু কর্মরত অবস্থায় মারা গিয়েছেন। ইসিএলে মৃতের আত্মীয়কে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা খনি কর্তৃপক্ষকে সে কথাই জানিয়েছি।” একই দাবি করেছেন আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত কয়লা খাদান শ্রমিক কংগ্রেস নেতা দুর্গাদাস মজুমদার। ইসিএলের এক আধিকারিক জানান, মৃত খনিকর্মীর ছেলে নেই, তবে মেয়ে রয়েছে। শ্রমিক সংগঠনগুলি মেয়ের স্বামীর জন্য চাকরির দাবি তুলেছে। এ ক্ষেত্রে ইসিএলের আইনে কী ব্যবস্থা রয়েছে সেটা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।