দিল্লিতে মোদী-পারিক্কর বৈঠক। ছবি: পিটিআই।
দেশের সম্ভাব্য নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হওয়ার দিকে আরও এক ধাপ এগোলেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিক্কর। শনিবারই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পারিক্কর ইস্তফার কথা ঘোষণা করতেই তাঁর উত্তরসূরি খুঁজতে তোড়জোড় শুরু হয়েছে রাজ্য বিজেপিতে। রবিবারই যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল হচ্ছে সে বিষয়ে নোটিস জারি করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য রদবদল নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই সরগরম জাতীয় রাজনীতি। মন্ত্রিসভায় বিভিন্ন নতুন মুখ নিয়ে কথা চললেও আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন মনোহর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রকের পদটি। বর্তমানে অর্থ-সহ প্রতিরক্ষামন্ত্রকের বাড়তি দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অরুণ জেটলি। প্রতিরক্ষার মতো দফতরের গুরুদায়িত্ব সামলাতে প্রথম থেকেই দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন মনোহর। কেন্দ্রের কোনও মন্ত্রী অথবা বিজেপির কোনও শীর্ষ স্থানীয় নেতাই রদবদলের কথা মানতে চাননি। মনোহরের প্রতিরক্ষা পাওয়ার বিষয়েও সিলমোহর দিচ্ছিলেন না কেউই। অবশেষে ধোঁয়াশা কাটাতে এগিয়ে এলেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীই। সংবাদমাধ্যমের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দায়িত্ব পেলে দফতরকে পরিচ্ছন্ন এবং স্বচ্ছ রাখার নিশ্চয়তা দিচ্ছি। ৯ নভেম্বর আমার রাজনৈতিক জীবনের ২০ বছর পূর্ণ হবে। এই সময়কালে কখনও কোনও অভিয়োগ ওঠেনি আমায় নিয়ে। কথা দিচ্ছি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হলে সেই রেকর্ড অক্ষতই রাখব।” তবে রাজ্য ছেড়ে দিল্লি যাত্রার প্রসঙ্গে আবেগপ্রবণ হয়ে বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতা বলেন, “গোয়া ছাড়তে মন চাইছে না। তবে দেশের স্বার্থ সবার আগে। আমাকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তবে গোয়ার যে কোনও প্রয়োজনে আমি থাকব।” শুক্রবার সন্ধ্যায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে পানাজিতে দেখা করবেন তিনি।
এ দিকে মনোহর-বিদায় নিশ্চিত হতেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করতে তোড়জোড় শুরু হয়েছে বিজেপিতে। তালিকায় রয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী ফ্রান্সিস ডি’সুজা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীকান্ত পারেস্কর এবং বিধানসভার স্পিকার রাজেন্দ্র আরলেকর। এঁদের মধ্যে এক জনকে বেছে নিতে শনিবার ফের বৈঠকে বসছে রাজ্য বিজেপি। বৈঠকে পর্যবেক্ষক হিসাবে উপস্থিত থাকবেন রাজীবপ্রতাপ রুডি, কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভি এস ইয়েদুরাপ্পা এবং বি সতীশ। দলের রাজ্য সভাপতি বিনয় তেন্ডুলকর বলেন, “মনোহর সম্ভাব্য পরবর্তী প্রতিরক্ষামন্ত্রী হওয়ায় রাজ্য বিজেপি গর্বিত। উপযুক্ত ব্যাক্তিই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন।” সেই ‘উপযুক্ত ব্যাক্তি’ হওয়ার দৌড়ে আপাতত এগিয়ে লক্ষ্মীকান্ত পারেস্কর। দল বা পারেস্করের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য না করা হলেও বিধায়কদের বৈঠকে তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ গাড়িতে আসা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এ বিষয়ে তঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা আগামিকালের বৈঠকেই নেওয়া হবে। তবে যে কোনও দায়িত্ব নিতে আমি তৈরি।”