Supreme Court on VVPAT

প্রতিটি বুথে ভিভিপ্যাট ও ইভিএমের হিসাব মেলাতে হবে? রায় দেওয়ার আগে কমিশনকে ৪ ‘সুপ্রিম’ প্রশ্ন

বুধবার দুপুর ২টোর সময় এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ। বুধবারই এই সংক্রান্ত রায় ঘোষণা হওয়ারও কথা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:১৬
Share:

গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

ভোট চলাকালীন প্রতিটি বুথের ইভিএম মেশিনের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের কাগজ মিলিয়ে দেখা উচিত কি? বিরোধীদের দাবি ছিল, ভোট প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ভাবে হচ্ছে কি না তো বোঝার জন্যই এই প্রক্রিয়া চালু হওয়া প্রয়োজন। পাল্টা নির্বাচন কমিশন বলেছিল এই প্রক্রিয়া চালু হলে আবার ব্যালট বক্সের জমানায় ফিরে যেতে হবে। অবশেষে বুধবার দেশের সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে রায় দিতে চলেছে। তবে তার আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে চারটি প্রশ্নের জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ।

Advertisement

ইভিএমে ভোট দেওয়ার পর সেই ভোট সঠিক জায়গায় পড়ল কি না তা দেখিয়ে দেয় ভিভিপ্যাট। ভোট দেওয়ার সাত সেকেন্ডের মধ্যে একটি কাগজ প্রার্থীর নাম প্রতীক-সহ বেরিয়ে আসে মেশিন থেকে। তবে সেই কাগজ প্রার্থীদের হাতে যায় না। জমা হয় একটি পাত্রে। এত দিন নিয়ম ছিল, প্রতিটি এলাকা থেকে যে কোনও পাঁচটি বুথ বেছে নিয়ে সেখানে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের কাগজের হিসাব মিলিয়ে দেখার। কিন্তু বিরোধীদের দাবি ছিল, প্রতিটি বুথেই এই কাগজ এবং ইভিএমের ভোট মিলিয়ে দেখতে হবে। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় এই হিসাবে গরমিল থাকছে।

বছরখানেক ধরেই এই মামলার শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার সেই মামলার রায় ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্ট। দুপুর ২টোর সময় এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ। তার আগে বুধবার সকালে দুই বিচারপতির বেঞ্চ তলব করেছে নির্বাচন কমিশনের এক জন পদস্থ অফিসারকে। তাঁকে বলা হয়েছে, এই সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়ার আগে আদালত কিছু তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চায়। কমিশনের ওই আধিকারিককে ঠিক দুপুর দুটোর সময় আদলতের কিছু প্রশ্নের উত্তর জেনে আসতে হবে।

Advertisement

নির্বাচন কমিশনের কাছে সুপ্রিম কোর্ট মোট চারটি প্রশ্নের জবাব চেয়েছে—

১. সমস্ত ভিভিপ্যাটেই কি মাইক্রো কন্ট্রোলার ইনস্টল করা আছে?

২. এই মাইক্রো কন্ট্রোলারকে কি এক বারই প্রোগ্রাম করা যায়?

৩. নির্বাচন কমিশনের কাছে কতগুলি সিম্বল লোডিং ইউনিট রয়েছে?

৪. নির্বাচনী হলফনামা জমা দেওয়ার সময় ৩০ দিন। আর সমস্ত রেকর্ড ৪৫ দিন পর্যন্ত মজুত করা থাকে। এই ভ্রম সংশোধন করা দরকার।

বেঞ্চ এই চার প্রশ্নের জবাব চেয়ে বলেছে, ‘‘আমরা এই উত্তরগুলি জানতে পারলে আমাদের হাতে সমস্ত তথ্য থাকবে সঠিক রায় দেওয়ার জন্য।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন