Payel Sarkar

গেরুয়া পতাকা হাতে নিয়েই পায়েল বললেন, প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে আছে

পায়েলের মতে, রাজ্যের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, শিক্ষা— সব পিছিয়ে পড়েছে। সেগুলি ফিরিয়ে আনতে পারবে বিজেপি-ই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৩:৩৫
Share:

সাংবাদিকদের মুখোমুখি পায়েল সরকার। —নিজস্ব চিত্র

রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পায়েল সরকারকে কি টিকিট দেবে বিজেপি? সেই উত্তর আপাতত সময়ের গর্ভে থাকলেও পায়েলের কিন্তু ইচ্ছে প্রার্থী হওয়ার। বৃহস্পতিবার গেরুয়া পতাকা হাতে নিয়েই এই ইচ্ছে প্রকাশ করলেন পায়েল। সঙ্গে জানালেন, মানুষের জন্য কাজ করতেই পদ্ম শিবিরে নাম লেখানো। ফিরিয়ে আনতে চান বাংলার ‘হৃত গৌরব’।

Advertisement

বুধবার হুগলির সাহাগঞ্জের সভায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন চিত্র পরিচালক রাজ চক্রবর্তী-সহ এক ঝাঁক টলিউড তারকা। তার পরের দিনই পদ্মফুলে নাম লেখালেন আরও এক টলিউড তারকা। বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার উপস্থিতিতে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে বৃহস্পতিবারই গেরুয়া ঝান্ডা হাতে নেন পায়েল। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে চান, তাই বিজেপিতে যোগদান।

পায়েলের মতে, রাজ্যের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, শিক্ষা— সব পিছিয়ে পড়েছে। সেগুলি ফিরিয়ে আনতে পারবে বিজেপি-ই। তাঁর কথায়, ‘‘বাংলার প্রত্যেকটি সমাজের মানুষের কাছে আমাদের আবেদন, বাংলার সংস্কৃতি, শিক্ষা, ঐতিহ্য ফিরে আসুক। আগের মতো আমরা সবাই আবার ভাল ভাবে থাকতে পারি। বিজেপি সেই স্বপ্নই দেখিয়েছে এবং দলের নেতারা সেই কাজটাই করছেন।’’

Advertisement

প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে আছে? প্রশ্নের জবাবে পায়েল সরাসরি বলেই দিলেন, ‘‘ইচ্ছে তো আছেই।’’ পরক্ষণেই অবশ্য কিছুটা সাবধানী, ‘‘তবে এখনও এ নিয়ে কিছু ভাবিনি। এ বিষয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে।’’

কিন্তু বিজেপি-তে যোগ দিলে টলিউডে কাজের ক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়তে হবে না তো? পায়েলের উত্তর, ‘‘দুটো সম্পূর্ণ আলাদা জগৎ। আমি এত দিন যে কাজ করেছি ভবিষ্যতেও করব। বিনোদনের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছনোর একটা মাধ্যম সিনেমা। আর রাজনীতি হল মানুষের জন্য কাজ করা। দুটো মাধ্যমের মধ্যে কোনও সঙ্ঘাত নেই। মানুষের ভালবাসা, আশীর্বাদ পেয়েছি। মানুষ যদি ভাল থাকেন, এবং তাতে আমার বিন্দুমাত্র অবদান থাকলে আমি খুশি হব।’’

রাজনীতিতে ফিল্মি তারকাদের যোগদান নতুন কিছু নয়। তবে সেই প্রবণতা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয় ফিল্মি কেরিয়ারে ভাঁটার টান আসার পর। কিন্তু কেরিয়ারের মধ্যগগণে থাকা অবস্থায় রাজনীতিতে এসে সাংসদ হওয়ার নজির এ রাজ্যে সম্ভবত প্রথম তৈরি করেছেন ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব। সৌজন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালে তৃণমূল নেত্রী ফের চমক দেন নুসরত এবং মিমিকে টিকিট দিয়ে। অন্য দিকে বিজেপি থেকেও আগের নির্বাচনে সাংসদ হয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। এ বার পায়েল বিধানসভার টিকিট পান কি না, নজর থাকবে তার দিকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন