১০ বছর বয়স পূর্ণ করল শাহিদ কপূর ও করিনা কপূরের ‘জব উই মেট’। ২০০৭-এ মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি পরিচালক ইমতিয়াজ আলির দ্বিতীয় ছবি।
এই লভ-স্টোরি দারুণ হিট করেছিল। তবে ছবির কয়েকটি দৃশ্যে ত্রুটিও রয়েছে। মনে পড়ছে শাহিদ-করিনার এই ট্রেনের দৃশ্য? ছবিকে পঞ্জাব মেল দেখানো হয়েছিল। বাস্তবে এই ট্রেন চলে মুম্বই থেকে ফিরোজপুর। কিন্তু ছবিতে টিটিই যখন শাহিদের কাছে জানতে চান, তখন শাহিদ বলেছিলেন শেষ স্টেশন দিল্লির টিকিট চাই। কিন্তু দিল্লি তো ফিরোজপুর থেকে ৪০০ কিমি দূরে!
দ্বিতীয় বার ট্রেন মিস করার পর করিনা বলেছিলেন, ‘রতলম এলাকার গলি’। মনে পড়ছে? ওই রতলম স্টেশনেই দ্বিতীয় ট্রেনটি ধরতে পারেননি করিনা। ছবিতে সুনসান এলাকা দেখানো এই স্টেশন বাস্তবে কিন্তু পশ্চিমের ব্যস্ত জংশনগুলির মধ্যে অন্যতম। আরও মজার হল, এই রতলম এলাকাটি পঞ্জাব মেলের রুটে পড়েই না।
ছবিতে এই অভিনেতাকে দুটি চরিত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল। এক বার তিনি একটি দৃশ্যে এক জন রক্ষীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই হোটেল ডিসেন্টের রিসেপশনেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল। বাজেট কম ছিল বলেই কি এমন সিদ্ধান্ত ছিল পরিচালক ইমতিয়াজ আলির?
ইমতিয়াজ আলি প্রথমে এই ছবির জন্য পছন্দ করেছিলেন ববি দেওলকে। শাহিদ কপূরকে পরে এই ছবির অফার দেন তিনি। ‘আদিত্য’র চরিত্রে শাহিদের অভিনয় কিন্তু আজও দর্শক মনে রেখেছে। ববি সেই চরিত্র করতে রাজি হননি না কি তিনি বাদ গেলেন, কারণই বা কী, এ নিয়ে কখনও মুখ খোলেননি পরিচালক।
ছবিতে ‘গীত’-এর চরিত্রেও প্রথমে আয়েশা টাকিয়াকে ভেবেছিলেন ইমতিয়াজ। পরে করিনার ‘হাই-স্পিরিট’ ক্যারেক্টরের কথা মনে পড়ে তাঁর। ‘জব উই মেট’-কে করিনার জীবনের একটা মাইলস্টোন তো বলাই যায়।
ছবিতে ‘অংশুমান’-এর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তরুণ রাজ অরোরা। এই ছবির শুটিংয়ের সময় শাহিদ-করিনা ব্যক্তিগত জীবনেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে ছিলেন। তরুণ জানিয়েছেন, যতই শাহিদ-করিনা প্রেম করুক না কেন, ছবির শুটিংয়ে অসম্ভব পেশাদারী মনোভাব ছিল দু’জনেরই।