আড্ডায় সৌমিত্র-শীর্ষেন্দু, অনিন্দ্য।ছবি: দেবর্ষি সরকার
কী করিয়া কী হইয়া গেল, লেখক নিজেও তা ভাল করে জানেন না। সম্পাদক নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অনুরোধে লিখতে শুরু করেছিলেন। তখনও বোঝেননি, আদতে উপন্যাসটা কেমন দাঁড়াবে। ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’ নিয়ে এক জমজমাট আড্ডায় উঠে এল এমনই নানা টুকরো স্মৃতি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, আবীর চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় আর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। আড্ডায় সৌমিত্র জানালেন, শীর্ষেন্দুর সঙ্গে তাঁর ষাট বছরের পুরনো সখ্যের কথা। তা বলতে বলতে যেন ফিরে গেলেন সেই কফি হাউসের আড্ডায়। সৌমিত্র তখন একটি-দু’টি করে ছবি করছেন। বিখ্যাত হচ্ছেন ধীরে ধীরে। কথায় কথায় এল গোয়েন্দা বরদাচরণের কথা। অনিন্দ্যর প্রশ্ন, আর লেখেন না কেন? লেখক বললেন, ‘‘এ প্রশ্ন অনেকেরই। কিন্তু বরদাচরণ মজার গোয়েন্দা বলেই তাঁকে নিয়ে বেশি কাহিনি লিখে যাওয়া শক্ত।’’
সৌমিত্র এ ছবিতে রাজামশাইয়ের চরিত্রে। রাজার পেটের অসুখ বলে ভালমন্দ খাবার জোটে না। কেবল শসা খান আর তামাদি হওয়া পুরনো টাকা গোনেন। সৌমিত্র জানালেন, ওই তামাদি টাকার সঙ্গে সাম্প্রতিক নোটবন্দির অদ্ভুত মিল পেয়েছেন তিনি।
অনিন্দ্য বলছিলেন, তাঁর চিত্রনাট্য লেখার কথা। দুষ্টু গরুকে খেলার মাঠে ঢোকাতে গিয়ে বা ঘোড়ার পিঠে রাজকুমারকে চাপাতে গিয়ে কী ভাবে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল তাঁর। শুটিংয়ে ঘোড়ার পিঠে চড়ার বিচিত্র অভিজ্ঞতার গল্প শোনালেন আবীর। বদমেজাজি অনভিজ্ঞ ঘোড়াটি যে মোটেই পছন্দ করছিল না তাঁকে!
শীর্ষেন্দু এ ছবিতে খুব ছোট্ট করে অভিনয়ও করেছেন। তবে ডাবিং করতে গিয়ে তাঁর নাজেহাল দশা। নিজেই জানালেন সেই গল্প। অনিন্দ্য বললেন, ‘‘ডাবিং ফেল করায় ‘অরিজন্যাল ট্র্যাক’ই রেখে দিয়েছি আমি।’’