Aamir Khan

‘ডিসলেক্সিয়া’য় আক্রান্ত জুনেইদকে নাকি বড্ড বকাবকি করতেন, বাবা হিসেবে ভাল ছিলেন না আমির!

আমির প্রথমে বুঝতেই পারছিলেন না যে জুনেইদের পড়তে, লিখতে অসুবিধে হচ্ছে। বাবা হিসেবে নিজেকে কার সঙ্গে তুলনা করলেন অভিনেতা?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫ ১৬:৩৩
Share:

আমির খান-জুনেইদ খান। ছবি: সংগৃহীত।

শৈশবেই দেখেছিলেন বাবা-মাকে আলাদা হয়ে যেতে। তার কিছু প্রভাবও ছিল জীবনে। এই সব আলোচনার মধ্যেই জুনেইদ জানান, শৈশবে তিনি এক জটিল রোগেও আক্রান্ত ছিলেন। পুত্র যে এই বিশেষ রোগে আক্রান্ত, তা বুঝতেও অনেকটা সময় লেগে গিয়েছিল আমির খানের। মাত্র ছয়-সাত বছর বয়স থেকে ‘ডিসলেক্সিয়া’ নামের রোগে আক্রান্ত জুনেইদ। এই রোগে আক্রান্ত হলে লেখা, পড়ার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা তৈরি হয়। জুনেইদ বলেছেন, “আমার বাবা-মা ‘তারে জ়মিন পর’-এর চিত্রনাট্য পড়ার পরে চমকে গিয়েছিলেন। পড়ার পরে ওঁদের মনে হয়েছিল, ‘আরে! আমরাও এই ধরনের অসুস্থতা দেখেছি’।” এর পরেই চিকিৎসকের কাছে জুনেইদকে নিয়ে যান আমির ও রিনা। চিকিৎসক জানান, জুনেইদ ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত। অভিনেতার কথায়, “আমি সত্যিই ভাগ্যবান। বড় হয়ে ওঠার সময়ে এই রোগ আমার উপরে সেই ভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি।” যদিও আমির জানান, তিনি নাকি ছেলেকে বড্ড বকাবকি করতেন।

Advertisement

আমির প্রথমে বুঝতেই পারছিলেন না যে জুনেইদের পড়তে, লিখতে অসুবিধে হচ্ছে। যখন বুঝতে পারলেন তখন ছেলেকে পড়াশোনা নিয়ে চাপ দেননি। যদিও আমির এ ক্ষেত্রে বলেন, ‘‘ আমি আসলে ‘তারে জ়ামিন পর’ ছবির ঈশানের বাবা নন্দকিশোর অবস্তীর মতোই ছিলাম।’’ আমির জানান, ছেলের হাতের লেখা শৈশব থেকে খুব খারাপ ছিল। ছেলের আচার আচরণে বিরক্ত হয়ে যেতেন। অভিনেতার কথায়, ‘‘ ও পড়তে পারত না। আমি ওকে বোঝাতাম, বুঝতে পারত না। খালি ভাবতাম এত বোঝাচ্ছি। কিন্তু ওর মাথায় ঢুকছে না কেন! পরে অবশ্য এই ডিসলেক্সিয়া জানার পর ওর পাশে থেকেছি। সেই কারণে ‘তারে জ়মিন পর’ ছবিটা আমার মনের এতটা কাছের।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement