ফয়জ়ল-আমির দুই ভাইয়ের তরজা। ছবি: সংগৃহীত।
আমির খান সম্পর্কে অকপট ভাই ফয়জ়ল খান। ‘মেলা’ ছবিতে ফয়জ়ল কাজ করেন আমিরের সঙ্গে। সেই প্রথম, সেই শেষ। তার পরই হারিয়ে যান। মাস কয়েক আগে হঠাৎ আগমন তাঁর। আমিরের প্রতি একগুচ্ছ অভিযোগ করেন তিনি। কখনও বলেন, ‘আমির আমাকে মাদক দিয়ে নেশাগ্রস্ত করে রাখত।’ কখনও জানিয়েছেন, মারধর করে তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা হত। প্রায় এক বছর তিনি নাকি গৃহবন্দি ছিলেন। ফয়জ়লের অভিযোগের আঙুল উঠেছে আমিরের ৯০ বছরের মা এবং অভিনেতার বোন নিখাতের দিকেও। এ বার সরাসরি বিবৃতি দেওয়া হল পরিবারের তরফে।
ফয়জ়লের অভিযোগ ছি, তাঁর পরিবার তাঁকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল। তাঁদের মনে হয়েছিল, ফয়জ়ল মানসিক অবসাদগ্রস্ত এবং স্কিৎজ়োফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। এর পরেই পরিবারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামেন ফয়জ়ল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফয়জ়ল জানিয়েছেন, পরিবারের জন্য মঙ্গল কামনা করলেও তাঁদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন তিনি। দীর্ঘ দিন বলিউডেও কোনও কাজ করেননি। তবে পুরনো স্মৃতি নাকি ভুলতে পারছেন না। প্রাক্তন অভিনেতা বলেন, ‘‘আমি এক দিন একা ছিলাম। প্রায় ৪০ জন ষণ্ডাগুন্ডা আমার বাড়িতে চড়াও হয়। লাঠি দড়ি সব নিয়ে হাজির হয়েছিল ওরা। আমাকে বলে, ‘তুমি পাগল’। আমাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে এসেছিল। আমি বললাম, টানাহেঁচড়া করতে হবে না, আমি এমনিই যাচ্ছি।” ফয়জ়ল দাবি করেছেন, প্রাথমিক ভাবে তিনি ভেবেছিলেন কিছু পরীক্ষা করে ছেড়ে দেওয়া হবে তাঁকে। কিন্তু, সেখানেই তাঁকে আটক করে রাখা হয়। তাঁর কথায়, “কী সব ওষুধ, জোর করে খাইয়ে দিল। ২০ ঘণ্টা ঘুমিয়ে ছিলাম। আমার ফোন কেড়ে নিয়ে আমাকে ঘরে আটকে রাখা হয়। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত।’’ এই পরিস্থিতিতে নাকি বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন ফয়জ়ল। তিনি বলেন, “আমি পালিয়ে না গেলে হয়তো এখনও পরিবারের সদস্যেরা আমাকে গৃহবন্দি করে রাখত।”
তাঁর অভিযোগ, আমির নিজের অধিকার কায়েম করতেই এ সব করেছেন। ফয়জ়লের কথায়, “যে বিষয়গুলিতে আমার স্বাক্ষর করার কথা, সেখানে আমির নিজে স্বাক্ষর করার অধিকার চেয়েছিল। ও মনে করত, আমি পাগল এবং নিজের যত্ন নিতে পারি না। এর পরেই আমি বাড়ি ছেড়ে দিই।”
লাগাতার যে ভাবে অভিযোগে গোটা পরিবারকে বিদ্ধ করেছেন ফয়জ়লকে সেই প্রসঙ্গে খান পরিবার বিবৃতি জারি করে বলে, ‘‘আমিরকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর ভাবে খবর ছড়ানোয় আমরা মর্মাহত। এই প্রথম বার তিনি (ফয়জ়ল) ঘটনাগুলিকে ভুল ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ওঁর প্রতি আপনাদের কাছে সহমর্মিতা চেয়ে নিচ্ছি।’’ এই বিবৃতিতে জানানো হয় অভিনেতা মানসিক সুস্থতার জন্য একাধিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।