(বাঁ দিক থেকে) আমির খান, রণবীর কপূর, প্রভাস। ছবি: সংগৃহীত।
চরিত্রের প্রয়োজনে চেহারায় বদল আনা অভিনেতাদের কাছে নতুন কিছু নয়। কখনও ওজন বাড়িয়ে ফেলেন তাঁরা, কখনও আবার কমাতেও হয়। এ ক্ষেত্রে খাবার ও খাদ্যাভ্যাসের বড় ভূমিকা থাকে। কেউ কেউ আবার আরও এক ধাপ এগিয়ে একেবারেই নিরামিষাশী হয়েছেন। শুধুই কি স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এমন সিদ্ধান্ত?
‘দঙ্গল’ ছবির শুটিংয়ের সময় ‘ভিগান’ হয়েছিলেন আমির খান। অর্থাৎ, প্রাণিজ খাবার খাওয়া ছেড়ে দেন। তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী, কিরণ রাওয়ের দেখানো একটি ভিডিয়ো থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। যদিও বেশি দিন টানতে পারেননি। দই খেতে ভীষণ ভালবাসেন অভিনেতা। ফলে ‘ভিগান’ হওয়ার বাসনা ছাড়েন। ২০১৬ সালে ‘মহেঞ্জো দারো’ ছবি করার সময় নিরামিষাশী হওয়ার চেষ্টা করেন হৃত্বিক রোশন। শোনা যায়, তিনি নাকি দেখতে চেয়েছিলেন যে, মাংস না খেয়েও নিজের কঠিন শরীর ধরে রাখতে পারেন কি না। এই বদল তাঁর শরীর কী ভাবে গ্রহণ করে, সেটাই নাকি দেখতে চেয়েছিলেন অভিনেতা। তবে, এখন অভিনেতা আমিষ খান।
২০০৯ সালে ‘কুরবান’ ছবি করার সময় করিনা কপূরকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন বিবেক ওবেরয়। করিনাকে দেখেই মাংস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পরে একাধিক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছেন, খাদ্যাভ্যাস বদলের এই সিদ্ধান্তে তিনি উপকৃত হয়েছেন। জনপ্রিয় ‘বাহুবলী’তে পেশিবহুল চরিত্রে দেখা মেলে প্রভাসের। এর পর ‘সাহো’ ছবির জন্য ওজন ঝরাতে হয়েছিল তাঁকে। সেই কারণে শুধু নিরামিষ খাবারে মন দিয়েছিলেন তিনি। এর ফলে দ্রুত ওজন কমেছিল অভিনেতার, নিজেই জানিয়েছিলেন সেই কথা।
একাধিক সূত্রের খবর, ‘ওএমজি—ওহ্ মাই গড’ ছবির শুটিংয়ের সময় নিরামিষাশী হয়েছিলেন অক্ষয় কুমারও। অভিনেতার মা ছিলেন কৃষ্ণের ভক্ত। মায়ের কথাতেই নাকি আমিষ ছেড়ে এই ছবির কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। অন্য দিকে, এখন ‘রামায়ণ’ ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত রণবীর কপূর। স্বাস্থ্যকর ডায়েটে মন দিয়েছেন অভিনেতা। জানিয়েছেন, শুধু নিজের জন্য নয়, মেয়ের জন্যও নিজের শরীর ভাল রাখার চেষ্টা করছেন তিনি। মাছ-মাংস খাওয়া ছেড়েছেন রণবীর। জীবনে এনেছেন একাধিক বদল।
অভিনয় মানেই শুধুমাত্র ক্যামেরার ঝলকানি, গ্ল্যামারদুনিয়া নয়। প্রতি ছবির, প্রতি চরিত্রের জন্য অভিনেতাদের অজস্র বদলের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এর মধ্যে খাওয়াদাওয়া অন্যতম, যা জীবনধারাকে বদলে দেয়।