প্রায় এক দশক আগেই আমির প্রমাণ করে দিয়েছেন, তিনি অন্য ছকের ছবিতে বেশি উৎসাহী।
আমির খান এখন ভরপুর এক্সপেরিমেন্টের নেশায়। নানা রকম চরিত্রে দেখা যাচ্ছে মিস্টার পারফেকশনিস্টকে। কখনও ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার ঠগী হয়ে নজর কাড়ছেন, কখনও তিনি আইকনিক ফরেস্ট গাম্পের হিন্দি ভার্সন করবেন বলে খবর হচ্ছে। অভিনয় নিয়ে তাঁর প্যাশন নতুন নয়। প্রায় এক দশক আগেই আমির প্রমাণ করে দিয়েছেন, তিনি অন্য ছকের ছবিতে বেশি উৎসাহী। কিন্তু ‘তারে জ়মিন পর’-এর পর থেকে তাঁকে পরিচালনায় আর দেখা গেল না। কেন? আমির বললেন, ‘‘ওই ছবিটা পরিচালনার সিদ্ধান্ত আমাকে পরিস্থিতির জন্য নিতে হয়েছিল। অভিনয় এবং পরিচালনা দুটো মাধ্যমের প্রতিই আমার অনেকখানি ভালবাসা। দুটোর মধ্যে পার্থক্য করতে পারি না। অভিনয়ে আমি এখনও নিজের পুরোটা দিইনি। পুরোপুরি পরিচালনা শুরু করলে অভিনয় ছেড়ে দেব। এখনও সময় আসেনি। তাই নিজের ভিতরের পরিচালককে আটকে রেখেছি।’’
বিভিন্ন রকম চরিত্র করার পাশাপাশি প্রযোজনাও করে চলেছেন। প্রযোজক হিসেবে কোন বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে আমিরকে? অভিনেতার উত্তর, ‘‘প্রোডিউসার হয়েছি বলে সিনেমা নিয়ে ব্যবসা করতে নামিনি। কাল যদি বাংলায় ভাল স্ক্রিপ্ট পাই, নিশ্চয়ই সেটা বানাব। কোরিয়া, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা যেখান থেকেই গল্প আসুক না কেন, আমার ভাল লাগলে সেই ছবি বানাবই।’’ তিরিশ বছরের কেরিয়ারে কোনও ছবিকে ‘না’ বলার জন্য আক্ষেপ করেন? সোজাসাপ্টা উত্তর অভিনেতার, ‘‘আমি আক্ষেপ করার মানুষ নই। ‘নাইন্টিন ফর্টি টু: আ লাভ স্টোরি’ আমাকে অফার করা হয়েছিল। আমি করিনি। বিধুকেও (বিনোদ চোপড়া) বলেছিলাম, তোরও এই ফিল্মটা করা উচিত নয়! আমি ‘সাজন’-এর প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। পরে ছবিটা দেখে এক বারও মনে হয়নি, আমি করলে কী হতো? মনে হয়েছিল, সলমন-সঞ্জু দু’জনেই খুব ভাল কাজ করেছে।’’
কোনও ঐতিহাসিক চরিত্র করতে চান? হাসতে হাসতে আমির বললেন, ‘‘আমার খুব ইচ্ছে, শিবাজির চরিত্র করি! আমাকে অনেকটা ওঁর মতো দেখতেও!’’ এখন এত পিরিয়ড ছবি হচ্ছে বলে পরিচালকদের জন্য আমিরের পরামর্শ, ইতিহাস নিয়ে ছেলেখেলা না করে আরও গভীরে রিসার্চ করে ছবিগুলো করা উচিত। স্ত্রী কিরণ রাওয়ের সঙ্গে ‘ধোবি ঘাট’-এর পরে আর ছবি করেননি। কোনও পরিকল্পনা নেই একসঙ্গে কাজ করার? ‘‘আমার মনে আছে, কিরণ যখন ‘ধোবি ঘাট’-এর গল্পটা শুনিয়েছিল, তখন খুব ভাল লেগেছিল। কিন্তু কিরণ আমাকে প্রথমে ছবিতে কাস্টই করতে চায়নি। আমি তখন ওকে সাজেশন দিই, অরুণের চরিত্রে ও আমার স্ক্রিন টেস্ট নিক। সেই সময়ে আমি হায়দরাবাদে ‘গজনী’র শুটিং করছিলাম। কিরণ আর ওর সহকারী পরিচালক আমার সঙ্গে দেখা করতে সেখানে আসে। স্ক্রিনটেস্ট দেখে কিরণ আর কাউকে কাস্ট করতে পারল না,’’ মুচকি হাসলেন অভিনেতা।