উত্তরাখণ্ডে গিয়ে কোনওমতে বেঁচে ফিরেছেন আশুতোষ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হড়পা বান, কাদার স্রোতে তছনছ হয়ে গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর ধরালী গ্রাম ও হর্ষিল উপত্যকা। এমন বিধ্বংসী বিপর্যয় থেকে কোনওমতে প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরতে পেরেছেন ছোটপর্দার অভিনেতা আশুতোষ সেমওয়াল। কী ভাবে রক্ষা পেলেন তিনি? জানালেন অভিনেতা নিজেই।
কাজের জন্য উত্তরাখণ্ডের এই বিপর্যস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন অভিনেতা। কিন্তু সৌভাগ্যবশত বিপর্যয় শুরু হওয়ার আগেই তিনি নীচে নেমে আসেন। আশুতোষ নিজেও উত্তরাখণ্ডের ছেলে। ধরালী গ্রাম থেকে ৩২৭ কিলোমিটার দূরে পীপলকোটী শহরে থাকেন তিনি। আশুতোষ সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমি নিরাপদে রয়েছি। সত্যিই আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ যে আমি ধরালী থেকে ওই বিপর্যয়ের এক দিন আগেই বেরিয়ে এসেছিলাম।”
বিপর্যস্তদের উদ্ধার করতে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। তাঁদের ত্রাণের জন্য উদ্যোগী সাধারণ মানুষও। অভিনেতা বলেছেন, “সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। শুধু মানুষকেই রক্ষা করা নয়। গাছপালা ও অন্য প্রাণীকূলকেও বাঁচানোর চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। এই বিপর্যয় থেকে যাতে মানুষ দ্রুত বেরিয়ে আসতে পারে, সেই প্রার্থনাই করছি।”
আশুতোষ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য দেহরাদূনে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন। আগামী নভেম্বরে তাঁর বিয়ে। সেই সংক্রান্ত বেশ কিছু কাজ ছিল। অভিনেতা বলেছেন, “যেহেতু আমার শুটিং ছিল না, তাই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে এসেছিলাম। বাবা-মা বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ওদের সাহায্য করতেই এসেছিলাম।”
১২,৬০০ ফুট উঁচুতে হয় মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছিল সে দিন। তার জেরেই হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে উপত্যকা। মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে তছনছ হয়ে গিয়েছে উত্তরকাশীর ধরালী গ্রাম ও হর্ষিল উপত্যকা। নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় একের পর এক বাড়ি, হোটেল। বিপর্যয়ের ভিডিয়ো দেখে সমাজমাধ্যমে শিউরে উঠছেন সকলে।