Televison

Ankita: ২ বছর অভিনয় থেকে দূরে, দেড় বছরের মেয়েকে রেখে ‘সংবাদ পাঠিকা’ হয়ে ফিরছেন অঙ্কিতা

বিবাহিত, এক সন্তানের মা। এই পরিচয় আগামী দিনের অভিনয় জীবনে ছাপ ফেলবে? মানতে নারাজ অঙ্কিতা

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২২ ১৭:৩৩
Share:

মেয়েকে শ্বশুর-শাশুড়ির জিম্মায় রেখে স্টুডিয়ো পাড়ায় অঙ্কিতা।

দু’বছর অভিনয় থেকে দূরে। বিয়ে, সংসার, কন্যা সন্তানের মা। তার দেখভাল। এক মাত্র মেয়ে দেড় বছরের। অঙ্কিতা মজুমদার ফের লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়ায়। জি বাংলায় ‘গৌরী এল’ ধারাবাহিকে ‘আনন্দী’ হয়ে ফিরছেন। পেশায় সংবাদ পাঠিকা। অঙ্কিতার কথায়, ‘‘দু’বছর পরে এমন একটি চরিত্রের হাত ধরে ফিরছি যার সঙ্গে আমার খুব মিল। আনন্দী আমারই মতো সংসার-সন্তান সামলাতে গিয়ে পেশা থেকে দূরে।’’

Advertisement

নতুন পেশা কেমন লাগছে? জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। জবাবে ফোনেই ভেসে এসেছে উচ্ছ্বাস, ‘‘নিজে অভিনয় থেকে দূরে। প্যাশন থেকে দূরে থাকার কষ্ট ভীষণ ভাবে অনুভব করেছি। তাই আনন্দীর চরিত্রে ডাক পাওয়ার পরে দ্বিতীয় বার ভাবিনি। গত দু’বছরে নানা ধরনের কাজের কথা হয়েছে। চরিত্র পছন্দ হয়নি। এই চরিত্রটিই আমার খুব কাছের। আনন্দীকে জীবন্ত করতে গিয়ে নিজের অভিজ্ঞতাও কাজে লাগাতে পারব।’’

চিত্রনাট্য অনুযায়ী, দ্বৈপায়ন দাসের বিপরীতে দেখা যাবে অঙ্কিতাকে। বাড়ির ছোট বউ। বাড়ির পরিবেশ পুরনো ধাঁচের। সারা ক্ষণ পুজোপাঠ চলতেই থাকে। ‘আনন্দী’ ওরফে অঙ্কিতাও ঈশ্বরবিশ্বাসী। কিন্তু, উপোস, পুজোপাঠে নয়। পরিবারের শান্তি বজায় রাখতে গিয়ে সে চুপচাপ মেনে নেয় সব কিছু। পেশা থেকে দূরে থাকার কারণে যন্ত্রণায় ছটফট করে। ‘‘আনন্দীও কি পারবে আমার মতো সব সামলে নিজের পেশায় ফিরতে? অভিনীত চরিত্রের মধ্যে দিয়ে দর্শকদের পাশাপাশি আপাতত এই খোঁজ আমারও’’, দাবি অভিনেত্রীর।

Advertisement

মেয়েকে শ্বশুর-শাশুড়ির জিম্মায় রেখে স্টুডিয়ো পাড়ায় অঙ্কিতা। এ কথা বলতেই হাল্কা বিষণ্ণ কণ্ঠস্বর, ‘‘খুব মন খারাপ করে মেয়ের জন্য। দেড় বছর ধরে নিজের হাতে সব করেছি। ওর বেড়ে ওঠার সাক্ষী। কাজে ফিরে যত খুশি ততটাই দুশ্চিন্তায় কাটে প্রতি মুহূর্ত।’’

বিবাহিত, এক সন্তানের মা। এই পরিচয় আগামী দিনের অভিনয় জীবনে ছাপ ফেলবে? মানতে নারাজ অঙ্কিতা। তাঁর মতে, যুগ বদলেছে। নায়িক-নায়িকার ভাবনা বদলে এখন সবাই অভিনেতা-অভিনেত্রী। তাই ভাল অভিনয় করতে পারলে আগামী দিনে বিয়ে, মাতৃত্ব শব্দগুলো পেশায় কোনও ছাপ ফেলবে না। এমনই আশা তাঁর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement