কেন ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ ফাঁস করলেন জীতু কমল? ছবি: ফেসবুক।
জীতু কমল-দিতিপ্রিয়া রায় তরজা তুঙ্গে। মাত্র এক মাসে জুটির প্রথম ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দর্শক পছন্দ করেছেন পর্দায় তাঁদের রসায়ন। একটি ছবিকে কেন্দ্র করে বাস্তবে দুই অভিনেতার মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব। উভয় পক্ষই নিজেদের বক্তব্য রাখছেন সমাজমাধ্যমে।
সোমবার রাতে দিতিপ্রিয়া যেমন একটি পোস্টে দাবি করেছেন, জীতু হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় তাঁর সঙ্গে নিয়মিত কথা বলেন। সেখানে এমন কিছু আপত্তিকর বক্তব্য রেখেছেন যা যে কোনও মেয়ের পক্ষে অসম্মানজনক। ধারাবাহিকের নায়িকার এই বক্তব্য রাতারাতি ভাইরাল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁরই পথে হেঁটে সমাজমাধ্যমে পাল্টা বক্তব্য রাখলেন ছোট পর্দার ‘আর্য সিংহ রায়।’ নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে তিনি তাঁর আর দিতিপ্রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে এনেছেন। ভাগ করে নিয়েছেন সমাজমাধ্যমে।
আপত্তিকর কোনও বক্তব্য থাক বা না থাক, সেই কথোপকথন ব্যক্তিগত। তাকে প্রকাশ্যে আনা কতটা যুক্তিযুক্ত?
জীতুর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার ডট কম। তিনিও পাল্টা প্রশ্ন রেখেছেন, “আমারও তো বাবা-মা আছেন। আমারও তো সম্মান আছে। তাঁদের সম্মান রক্ষা করার দায়িত্ব কি আমার নয়?” অভিনেতা এটুকু বলেই থামেননি। তাঁর সাফ দাবি, “আমি যদি স্ক্রিনশটগুলো না দিতাম তা হলে কী করে নিজেকে রক্ষা করতাম? আমি তো অপেক্ষা করেছিলাম, হয়তো পোস্টটা নামিয়ে দেবে, হয় তো চুপ করে যাবে। সেটা না করে আজেবাজে মন্তব্য করে চলেছে! আমি কী করতে পারি?
আরও একটি বিষয় লক্ষণীয়। প্রত্যেক পোস্টের আগে জীতু হয় ‘ওং’ নয় ‘নমঃ শিবায়’ লিখছেন। অভিনেতা শিবভক্ত, তা সকলেই জানেন। তিনি ছোটপর্দায় বহু বার ‘শিব’ হয়েছেন, তা-ও কারও অজানা নয়। কিন্তু প্রতি পদে ইষ্টদেবতাকে স্মরণ যে অন্য কথার জন্ম দিচ্ছে! নিন্দকদের কটাক্ষ, জীতু কি ভয় পাচ্ছেন? তাই এত ঈশ্বরভক্তি?
অভিনেতা এই বক্তব্যেরও জবাব দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “মানুষ বুঝি স্মরণ করে ভগবানে ভয় পেলে? ভগবান সব সময়ে ভয় পাওয়া থেকে রক্ষা করেন এমন নয়। আমার শিব আমার সঙ্গে দুঃখে-সুখে থাকেন। ওঁর সঙ্গে সব কিছু ভাগ করে নিই।” ঈশ্বরের সঙ্গে তাঁর এই ইতিবাচক আদানপ্রদানই সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন অভিনেতা। নিজেকে রক্ষা করতে নয়।