Chirosakha Serial

নতুন কাকুর সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক নিয়ে ক্ষুব্ধ বুবলাইয়ের মন, বাস্তবে সুদীপ-ভিভানের সম্পর্ক কেমন?

পরিণত প্রেমের কাহিনি ছোট পর্দায় তুলে ধরেছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ‘চিরসখা’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে। পর্দার সমীকরণের প্রভাব কি দেখা যায় অভিনেতাদের বাস্তব জীবনেও?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৫ ১৮:১৯
Share:

সুদীপ-ভিভানের বাস্তব সমীকরণ। ছবি: সংগৃহীত।

মায়ের সঙ্গে নতুন কাকুর সম্পর্ক কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না বুবলাই। কথায় কথায় সবার সামনে নতুন কাকুকে অপমান করছে, যা কমলিনীর পক্ষে সহ্য করা খুবই দুষ্কর হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে আবার ‘মৃত’ স্বামী ফিরে এসেছে। সব মিলিয়ে পর্দায় ‘চিরসখা’ ধারাবাহিকে তোলপাড় কাণ্ড। কিন্তু ক্যামেরার পিছনেও কি নতুন কাকু আর বুবলাইয়ের এ রকমই সমীকরণ? কুঁদঘাটের কাছে একটি স্টুডিয়োয় প্রতি দিন শুটিং হয়। দিনের ১৪ ঘণ্টা একসঙ্গেই কাটে তাঁদের। সুদীপ বললেন, “পর্দার সামনের কাহিনি যদি বাস্তবেও হত তা হলে তো একসঙ্গে কাজ করাই কঠিন হয়ে যেত!” দুপুরের খাওয়ার জন্য কিছুক্ষণের বিরতি। তার পর আবার শট শুরু। মেকআপ রুমে সহ-অভিনেতাদের বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার, সম্পর্কই তো এত ঘণ্টা কাজ করার জন্য অক্সিজ়েন জোগায় অভিনেতাদের। বুবলাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন ভিভান ঘোষ।

Advertisement

দুপুরের পর কল টাইম। আগে থেকেই অবশ্য তিনি হাজির শুটিংয়ে। কারণ, কাজের আগের আড্ডাটা কোনও ভাবেই মিস্ করা যায় না। তখন পর্দার নতুন কাকু টক দই খেতে ব্যস্ত। ভিভান বললেন, “ধুর, পর্দায় আমরা যা-ই করি না কেন, সুদীপদা দারুণ মানুষ। খাওয়া-দাওয়া, তর্কবিতর্ক সবই হয়।” সেই তর্কে রাজনীতি থাকে? সুদীপ বললেন, “না না, রাজনীতি নয়। আমাদের তর্কবিতর্ক হয় ইস্টবেঙ্গল আর মোহনবাগান নিয়ে। আমি মোহনবাগান আর ও ইস্টবেঙ্গল।” সেই সঙ্গে ভিভান যোগ করলেন, “আমরা যেমন আড্ডা দিই, তো ঠিক আছে। কিন্তু দিগন্তদা (বাগচি) সেটে এলে আরও চনমনে হয়ে যাই। সবার পিছনে লাগে দিগন্তদা।” এই বন্ধুত্ব, এই সমীকরণই আরও সাহায্য করছে তাঁদের নিজেদের চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে। আপাতত, কমলিনী এবং স্বতন্ত্রের জীবন কোন দিকে মোড় নেবে, সেই গল্প জানার অপেক্ষায় উৎসুক দর্শক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement