কেন ক্ষমা চাইলেন বিজয় দেবেরাকোন্ডা? ফাইল চিত্র।
তিনি ততটাও গভীর ভাবে ভেবে ‘আদিবাসী’ শব্দটি ব্যবহার করেননি। তাঁর কাছে এই বিশেষ শব্দের অর্থ অখণ্ড ভারত। অভিনেতা বিজয় দেবরকোন্ডা পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনার সঙ্গে আদিবাসী গোষ্ঠীর ঐতিহাসিক সংঘর্ষের তুলনা করেছিলেন। বলা কথা ফেরানো যায় না। এ দিকে থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে অভিনেতার বিরুদ্ধে। বিতর্ক বাড়ছে দেখে শনিবার সমাজমাধ্যমে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন দেবরকোন্ডা। এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার)-এ লিখিত বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, তিনি কোনও সম্প্রদায়কে ছোট করতে চাননি। তার পরেও তার বক্তব্যে কেউ আহত হলে তিনি আন্তরিক দুঃখিত।
পাকিস্তানের সঙ্গে আদিবাসীদের তুলনা করতেই শুরু হয় বিতর্ক। বিতর্কের আঁচ বাড়তেই রাতারাতি সুর নরম অভিনেতার। তাঁর আরও বক্তব্য, “আভিধানিক এবং ঐতিহাসিক অর্থে আদিবাসী শব্দটি ব্যবহার করেছি। কারণ, পৃথিবী এক সময় বিভিন্ন উপজাতি ও গোষ্ঠীতে বিভক্ত ছিল। তার সঙ্গে আজকের তফসিলভুক্ত জনজাতির কোনও সম্পর্ক নেই। এই তফসিল তৈরি করেছিল ইংরেজরা। যা মাত্র ১০০ বছর আগে তৈরি করা হয়।”
পহেলগাঁও ঘটনা নিয়ে প্রথম দিন থেকে সরব বিনোদন দুনিয়ার তারকারা। এমন নারকীয় ঘটনার জন্য তাঁরা যেমন দুঃখপ্রকাশ করেছেন, সমাজমাধ্যমে তেমনই নানা অনুষ্ঠানেও কথাপ্রসঙ্গে উঠছে বিষয়টি। তেমনই এক অনুষ্ঠানে ঘটনার নিন্দা করতে গিয়ে কড়া ভাষায় বক্তব্য রাখেন বিজয়। বলেন, “পাকিস্তানকে আক্রমণ করার কোনও প্রয়োজনই মনে করে না ভারত। তার কারণ, পাকিস্তানের মানুষই নিজেদের সরকারকে নিয়ে বীতশ্রদ্ধ। পাকিস্তান তো ৫০০ বছর আগের আদিবাসীদের মতো আচরণ করে। কোনও উপস্থিত বুদ্ধি ছাড়াই ওরা যুদ্ধ করতে নামে।”
এর পরেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের দাবি, অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে বিজয়কে। ‘ট্রাইবাল লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন বাপুনগর’-এর সভাপতি কৃষ্ণরাজ চৌহান অভিযোগ জানান বিজয়ের বিরুদ্ধে। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় দক্ষিণী তারকার নামে।