Bandish Bandits season 2

সৃজিতের ছবিতে অভিনয় করতে চান ‘জওয়ান’-এর ‘জাহ্নবী’! আলিয়া কুরেশি কাজেই খোঁজেন তৃপ্তি

শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘জওয়ান’-এর পরেই সিরি়জ় ‘ব্যান্ডিড বন্দিশ ২’-এ! কেন? আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে প্রথম মুখ খুললেন অভিনেত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৫
Share:

শাহরুখ খানের সঙ্গে আলিয়া কুরেশি। ছবি: সংগৃহীত।

গত বছর তিনি ‘জওয়ান’-এ শাহরুখ খানের সহ অভিনেত্রী ছিলেন। এ বছর একদম ভিন্ন ভাবে ‘বন্দিশ ব্যান্ডিটস ২’-এ আলিয়া কুরেশি। বাস্তবে তিনি সঙ্গীতশিল্পী, গান ভালবাসেন। সিরিজ়েও তিনি এক বাদ্যযন্ত্রীর চরিত্রে। সিরিজ়ের নেপথ্যে তাঁর গাওয়া গান ব্যবহৃত হয়েছে। পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন। আলিয়ার বিপরীতে এই প্রজন্মের অভিনেতা ঋত্বিক ভৌমিক। নতুন ভূমিকায় তাঁর অভিনয় ইতিমধ্যেই দর্শক প্রশংসিত। যিনি শাহরুখ খানের সঙ্গে বড় পর্দায় দাপিয়ে অভিনয় করেছেন, তিনি কেন মুঠোফোনে নিজেকে বন্দি করলেন? যাঁর বিপরীতে তথাকথিত তারকা নেই! আনন্দবাজার অনলাইন কৌতূহল প্রকাশ করেছিল খোদ আলিয়ার কাছে। অভিনেত্রী অনর্গল, “সব কাজ নাম, যশ, অর্থের লোভে করি না। কিছু কাজ আমার আত্মার কাছাকাছি। নিজেকে তৃপ্ত করতেও কিছু কাজ করি। যেমন এই সিরিজ়। প্রথম সিজ়ন আমায় এতটাই নাড়া দিয়েছিল যে পরের সিজ়নে ডাক পাওয়ার পর দ্বিতীয় বার ভাবিনি।”

Advertisement

এটা আলিয়ার ‘বন্দিশ ব্যান্ডিটস ২’-এ কাজ করার গৌরচন্দ্রিকা। গানের পাশাপাশি অভিনেত্রী পড়াশোনাতেও ভাল। গান এবং মনস্তত্ত্বে স্নাতক। যে কোনও বড় চাকরি পেতে পারতেন তিনি, কিন্তু বেছে নিলেন অভিনয়ের মতো অনিশ্চিত পেশা! বিস্ময় প্রকাশ করতেই অভিনেত্রীর দাবি, “বলতে পারেন আমি পরিবারের ‘কুলাঙ্গার’! পরিবারের কেউ বিনোদন দুনিয়ায় নেই। আমি এতেই সন্তুষ্ট। ওই যে বললাম, নিজেকে খুশি রাখতে চাইলে ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিতে হয়। সেটাই দিয়েছি।” আলিয়া তাই বড় পর্দাতেও আছেন, মুঠোফোনেও।

‘বন্দিশ ব্যান্ডিটস ২’-এ আলিয়া কুরেশি সুরকারের চরিত্রে। ছবি: সংগৃহীত।

ইদানীং, ‘জওয়ান’, ‘পুষ্পা ২’ বা ‘ভুলভুলাইয়া ৩’-এর মতো ছবি ব্লকবাস্টার। এই প্রজন্মের দর্শক ফের যেন ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ ছবিতে আগ্রহী। ঠিক যেমনটা দেখা যেত সত্তর বা আশির দশকে, অমিতাভ বচ্চন, বিনোদ খন্নার সময়ে। পাশাপাশি, এই ধরনের ছবি সাধারণত তারকাখচিত। এই ধরনের ছবিতে কেউ একা গুরুত্ব পান না। আলিয়াও কি তাই-ই মনে করেন? অভিনেত্রীর মতে, “পুরোটাই নির্ভর করে দর্শকের মানসিকতার উপরে। কেউ প্রেক্ষাগৃহে এসে বিনোদন খোঁজেন। তিনি তাই বাণিজ্যিক ছবি দেখতে পছন্দ করেন। যাঁরা ছবির গভীরতায় বিশ্বাসী তাঁরা ভিন্নধারার ছবি বা সিরিজ়ে আগ্রহী।”

Advertisement

আলিয়ার মতে, ট্রেন্ড দেখে তাই বলা যায় না, কোন ধারার ছবির পাল্লাভারী! তিনি তাই দুই ধারার ছবিতে কাজ করেছেন। অভিনেত্রী এ-ও জানিয়েছেন, তারকাদের সঙ্গে কাজের অনেক সুবিধা। প্রথমত, ছবি টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তাঁদের কাঁধে। বাকিরা মন খুলে কাজ করতে পারেন। একই সঙ্গে তাঁদের ‘স্টারডম’-এর সাক্ষী থাকা যায়। অভিনয় শেখা যায়। আর এই প্রজন্মের অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ মানেই শুটিংয়ের ফাঁকে দেদার আড্ডা।

বলিউড আর টলিউডের মধ্যে ছবির গল্প বা অভিনেতাদের মধ্যে আদানপ্রদান বিস্তর। ছবির বিষয় নির্বাচনে তাই সাদৃশ্য দেখা যায় অনেক সময়। একই ভাবে উভয় ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতারা দুই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজও করেন। আলিয়াও কি কখনও টলিউডে কাজ করবেন? তাঁর পছন্দের পরিচালক, অভিনেতা কারা? প্রশ্ন শুনেই গলায় বাড়তি উচ্ছ্বাস অভিনেত্রীর। আন্তরিক ভাবে বললেন, “আমার অনেক বাঙালি বন্ধু। বাঙালিদের খুব ভালবাসি।” একটু থেমে যোগ করেছেন, “আপনারা বাঙালিরা যে কোনও শিল্পকলার প্রতি প্রচণ্ড আগ্রহী। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল।” তিনি তাই বাংলা ছবি দেখেন। সুযোগ পেলে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে কাজ করবেন। বিপরীতে চান প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, দেব অথবা জিৎকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement