অবসাদ কাটাতে কী করেন অনামিকা? ছবি: সংগৃহীত।
সমাজমাধ্যমের পাতায় চোখ রাখলে মাঝে মাঝেই চোখে পড়ে অবসাদ, আত্মহত্যার ঘটনার কথা। সাধারণ মানুষ থেকে তারকা— বহু উদাহরণই রয়েছে। ১০ সেপ্টেম্বর, ‘আত্মহত্যা প্রতিরোধ’ দিবস। কাজ না পেয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন অভিনেতারা, টলিপাড়ায় এ রকম ঘটনা ঘটেছে। আবার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণেও চরম পথ বেছে নেওয়ার ঘটনাও কম নেই। এই বিশেষ দিনে অভিনেত্রী অনামিকা চক্রবর্তীর অনুরোধ, সংসারে কোনও ব্যাপারেই ধৈর্য হারালে চলবে না।
সমাজমাধ্যমের বাড়বাড়ন্ত অনেক সময় প্রভাব ফেলে নেটপ্রভাবীদের মধ্যে। অনামিকা বললেন, “সমাজমাধ্যমের পাতায় যা দেখানো হয়, সেটা জীবন নয়।” অভিনেত্রী নিজেও দীর্ঘদিন অবসাদে ছিলেন। তার জন্য চিকিৎসকের সাহায্যও নিয়েছেন। অনামিকার কথায়, “আমাদের ধৈর্য রাখতে হবে। যে মানুষটি সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তাঁকে দয়া না করে তাঁর কথা শোনা দরকার। আমি নিজেও মনোবিদের সাহায্য নিয়েছি। ভাবছি আবার যাব।”
এই সব ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়া ঘনিষ্ঠদের পাশে থাকা খুব জরুরি বলে তিনি জানান। অভিনেত্রী যোগ করেন, “আমি এই ধরনের মানুষদের কাছ থেকে দেখেছি। আমি নিজেও ছোটবেলায় হঠাৎ করে রেগে যেতাম। আচমকা মুড বদলে যেত। নিজেই নিজেকে বোঝাতাম। বাস্তবকে সহজে গ্রহণ করতে পেরেছি আমি। তাই সমস্যা থেকে বার করতে পেরেছি নিজেকে।” অভিনেত্রীর মতে, নিজের কাছের মানুষের কথা যত মন দিয়ে শোনা যাবে, তাঁদের যত আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখা যাবে, ততই খারাপ চিন্তা তাঁদের মাথায় আসবে না।