লক্ষ্মীপ্রতিমার সঙ্গে অপরাজিতা আঢ্য। ছবি: সংগৃহীত।
অপরাজিতা আঢ্যের লক্ষ্মীপুজো মানেই এলাহি আয়োজন। প্রত্যেক বছর ধনদেবীর আরাধনায় তাঁর বাড়ি সরগরম হয়ে ওঠে বাংলা বিনোদনদুনিয়ার তারকাদের ভিড়ে। অভিনেত্রী এবং তাঁর শাশুড়ি মা মিলে প্রতি বছর লক্ষ্মীর ভোগ, রকমারি মিষ্টি নিজ হাতে বানান। এ বছরেও ব্যতিক্রম ঘটছে না। “এলোঝেলো থেকে নারকেল নাড়ু— কিচ্ছু বাদ যায়নি। সব শাশুড়ি মা নিজের হাতে বানিয়েছেন”, আনন্দবাজার ডট কম-কে জানালেন অপরাজিতা।
প্রতি বছরের মতো এ বছরেও তিনি চওড়া লালপেড়ে সাদা শাড়ি, টানা নথ, গা-ভর্তি গয়নায় লক্ষ্মীমন্ত। এ-ও জানা গেল, খিচুড়ি, ফ্রায়েড রাইস, পোলাও, ভাজা, রকমারি তরকারি, চাটনি, মিষ্টি, পায়েস খাওয়ানো হবে আমন্ত্রিতদের। দেবীকে কেমন সাজালেন? সেই ছবিও তিনি ভাগ করে নিয়েছেন। এ বছর তাঁর লক্ষ্মীপ্রতিমা গোলাপি ঘাগরা-চোলিতে ঝলমলে। পোশাকে কাচ, জরি, চুমকির কাজ। সোনার মুকুট, গা-ভর্তি সোনার গয়না। শুরু থেকে এই দেবীই আঢ্য পরিবারে পূজিত। দেবীর পাশাপাশি অভিনেত্রী নিজেকে সাজিয়েছেন মুক্তগাঁথা সোনার চোকার, মানানসই দুল আর ব্রেসলেটে।
এ বছর একদিন আগে থেকেই পুজোর তোড়জোড় শুরু। কারণ, রবিবার রাজ্য সরকার আয়োজিত রেড রোডে পুজো কার্নিভালে যোগ দিয়েছেন তিনি। “শনিবারই মা একপ্রস্থ ঠাকুরঘর পরিষ্কার করে ফেলেছেন। আমিও মা লক্ষ্মীকে নামিয়ে পরিষ্কার করি। প্রত্যেক বছর এক এক রকম করে সাজাই। নতুন গয়না কিনি। এ বছরে মায়ের সঙ্গে আমিও গয়না কিনেছি।” এত দিন শাশুড়ি মায়ের সঙ্গে উপবাস করে পুজোর সমস্ত কাজ করতেন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে আর নির্জলা উপবাস করেন না। ফল, ছাতুর শরবত খেয়ে পুজোর কাজ করেন। “আমার মতে, মন শুদ্ধ তো সব শুদ্ধ। শরীরকে কষ্ট দিয়ে পুজো করার কথা কখনও ঈশ্বর বলেননি। আমি সেই পথে হাঁটি”, দাবি তাঁর।
এই জায়গা থেকেই অভিনেত্রীর উপলব্ধি, শরীরের পাশাপাশি মনকেও সুস্থ রাখতে হবে। তবেই শ্রী ফিরবে। তাই অপরাজিতার প্রার্থনা, “সকলের মন ভাল থাক, সুস্থ ভাবনায় ফিরে আসুক মানবজাতি। তবেই দুঃখ-কষ্ট দূর হবে।”