Payel Chakraborty

শিলিগুড়ির হোটেলে রহস্যমৃত্যু অভিনেত্রী পায়েল চক্রবর্তীর

সেই মতো বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে ডাকেন হোটেলের কর্মীরা। কিন্তু সকাল কোনও সাড়া না পাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন হোটেলের কর্মচারীরা। বার বার দরজা ধাক্কা দেওয়ার পরও কোনও সাড়া না মেলায় খবর দেওয়া হয় শিলিগুড়ি থানায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:২৪
Share:

পায়েল চক্রবর্তী। ছবি: ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সৌজন্যে পাওয়া।

হোটেলের ঘরের দরজা ভেঙে পাওয়া গেল টলিউড অভিনেত্রী পায়েল চক্রবর্তীর ঝুলন্ত দেহ। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির এয়ারভিউ মোড়ের চার্চ রোডের কাছে একটি হোটেলে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ওই হোটেলে চেক-ইন করেছিলেন পায়েল। ছিলেন হোটেলের ১৩ নম্বর ঘরে। পর দিন সকালে গ্যাংটক যাবেন বলে জানিয়েছিলেন হোটেল কর্মীদের। সে কারণে পর দিন সকাল ৭টা নাগাদ ডেকে দিতেও বলেছিলেন তাঁদের।

সেই মতো বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে ডাকেন হোটেলের কর্মীরা। কিন্তু সকাল কোনও সাড়া না পাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন হোটেলের কর্মচারীরা। বার বার দরজা ধাক্কা দেওয়ার পরও কোনও সাড়া না মেলায় খবর দেওয়া হয় শিলিগুড়ি থানায়।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে এই হোটেলেই ছিলেন পায়েল চক্রবর্তী।—নিজস্ব চিত্র।

পুলিশ আসার পর ভাঙা হয় ১৩ নম্বর ঘরের দরজা। ঘর থেকে উদ্ধার হয় পায়েল চক্রবর্তীর ঝুলন্ত দেহ।

আরও পড়ুন: শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রমণ, ফের হাসপাতালে দিলীপ কুমার

হোটেল কর্মীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত ফোনে চিৎকার করে কথা বলতে শোনা যায় পায়েলকে। এতটাই জোরে কথা বলছিলেন, যে ঘরের বাইরেও সেই আওয়াজ এসে পৌঁছয়। অভিনেত্রীর মোবাইল ফোনটি এখনও পাওয়া যায়নি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তার ফোনের কল ডিটেলস। কথা বলা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও। তবে মৃত্যুর অন্য কোনও কারণ আছে কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: হিজাব পরেই মিস ইংল্যান্ড ফাইনালিস্ট, ইতিহাস গড়লেন সারা

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সোমবার শিমুরালিতে শুটিং করেন পায়েল। মঙ্গল বার অন্য আর একটি শুটিং-এ রাঁচী যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাঁর ফোন ছিল বন্ধ। মেয়ের কোনও খোঁজ না পাওয়ায় ওই দিনই পায়েলের মা দক্ষিণ ২৪ পরগনার পঞ্চসায়র থানা এলাকায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
পায়েলের বাপের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে। ২০০৬ সালে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁর একটি ন’বছরের ছেলেও আছে। ২০১৫ সাল থেকে পুরো দমে অভিনয় শুরু করার পর থেকেই পরিবারকে খুব একটা সময় দিতে পারতেন না পায়েল। ছেলেকে সময় দিতে না পারায় মানসিক অশান্তিতেও ভুগতেন তিনি। ২০১৫ সালে ডিভোর্সের মামলা করেন তাঁর স্বামী। এর পর আরও বেড়েছিল তাঁর মানসিক অশান্তি। টালিগঞ্জে একটি ফ্ল্যাটে ছেলে থাকত তাঁর স্বামীর সঙ্গেই। আর পায়েল একাই থাকতেন নিউ গড়িয়ার একটি ফ্ল্যাটে।

মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর পায়েলের বাবা প্রণব গুহ পৌঁছেছেন শিলিগুড়িতে। তিনি বলেন, ‘‘পায়েল বেশ কিছু ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল। তবে জামাইয়ের বিরুদ্ধে আমাদের কোনও অভিযোগ নেই।’’

টেলিভিশনের পর্দায় বেশ জনপ্রিয় মুখ ছিলেন পায়েল। ‘চোখের তারা তুই’ আর ‘রূপায়ণ’, এই দুই ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় দর্শকদের নজর কেড়েছিল। আসন্ন মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘কেলো’ তে অন্যতম মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ছিলেন দেবের ‘ককপিট’ সিনেমাতেও।

(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্ত সেলেব্রিটি গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন