সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে কেমন দেখেছেন পায়েল সরকার? ছবি: ফেসবুক।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘চতুষ্কোণ’ ছবির শুটিং। আমি নায়িকা। ওঁকে নিয়ে অনেক গুঞ্জন। যেমন, সৃজিত নাকি খুব রাগী। নাকের ডগায় রাগ নিয়ে ঘোরেন। একটুতেই রেগে যান। রেগে গেলেই ভারী গলায় বকেন! শুটিং শুরু হল এবং শেষও হয়ে গেল। আমার কিন্তু এ রকম কোনও অভিজ্ঞতাই হল না!
না, সৃজিত আমায় কোনও দিন বকেনি। রাগারাগি করতেও দেখিনি। নিজের কাজ নিয়ে বরং বড্ড খুঁতখুঁতে। শট নিখুঁত না হওয়া পর্যন্ত ছাড়েনি কোনও দিন। অভিনেতাদের থেকে কাজটা ঠিক আদায় করে নিতে জানে।
আনন্দবাজার ডট কম জানতে চেয়েছিল, কী করে নায়িকাদের সঙ্গে খুব সহজে সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায় সৃজিতের? জানি না, কী বলব। তবে আমার সঙ্গে ওর শুধুই ভাল সম্পর্ক।
কাজের ফাঁকে মন খুলে আমরা আড্ডা দিয়েছি অনেক। কখনও কোনও চর্চিত বিষয় নিয়ে। কখনও নিছক আড্ডা। সেখানে তথাকথিত ভারী বিষয় নেই। আবার ‘গসিপ’ও নেই! তার পরেও ওর সঙ্গে আড্ডা দিয়ে আরাম। যে কোনও বিষয় নিয়ে অনেক ক্ষণ কথা চালিয়ে যেতে পারে বলে। সেই জায়গা থেকে সৃজিত আমার বন্ধু। ফলে, নায়িকাদের কেন ও এত ‘প্রিয়’, বলতে পারব না।
আমি সৃজিতের একটি ছবির নায়িকা। ওর ছবির নিয়মিত দর্শক। সেই জায়গা থেকে ওর দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, মানসিকতার বদল, আরও পরিণতমনস্কতার আঁচ পাই। এই বদল কিন্তু ইতিবাচক। সৃজিতকে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে।
তা হলে কি সৃজিত আরও ‘বড়’ হল, না কি ‘বুড়ো’? আমার চোখে একসঙ্গে দুটোই না হয় বাড়ুক! মন্দ কী? ‘বুড়ো’ হওয়ার মধ্যেও কিন্তু আলাদা জৌলুস আছে। যিনি বোঝেন, একটা বয়সের পর জন্মদিন এলে তাঁর আর একটুও মনখারাপ করে না।