বিয়ের পরেই অভিনয় ছেড়ে দেন পূজা বেদী। ছবি: সংগৃহীত।
ভিন্ধর্মে বিয়ে করে বিপাকে পড়েছিলেন পূজা বেদী। ৯০-এর দশকের অতি পরিচিত মুখ ছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু ব্যবসায়ী ফারহান ফার্নিচারওয়ালার সঙ্গে বিয়ের পরে কর্মজীবনে পিছিয়ে পড়েন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটা দাবি করেছেন নিজেই।
বিয়ের পরে অভিনয় থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন পূজা। ভিন্ধর্মে বিয়ের জন্যই নিজে অভিনয় থেকে সরে এসেছিলেন তিনি। পূজা বলেছেন, “ফারহানকে বিয়ে করেছিলাম। ও খুবই রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারের মানুষ। সেটে অভিনয় করতে যাচ্ছে এমন বৌকে কোনও ভাবেই ফারহানের পরিবার মেনে নিত না।”
সেই সময়ে পূজার যৌন আবেদন নিয়ে চর্চা হত বলিউডে। তাঁর নামের সঙ্গে জুড়েছিল ‘সেক্স সিম্বল’, ‘সেক্সি বহু’র মতো তকমা। এই তকমাগুলি কখনওই মেনে নিতে প্রস্তুত ছিল না ফারহানের পরিবার। তাই পূজার কথায়, “তখন এটাই নিয়ম ছিল। বিয়ে করলে অভিনয় থেকে সরে আসতে হবে। এখনকার মতো বিষয়টা ছিল না। তার উপর ‘সেক্স সিম্বল’, ‘সেক্সি বহু’ এই সব তকমা গ্রহণ করার ক্ষমতা ওদের ছিল না।”
স্বামীর পরিবারের কথা ভেবে স্বেচ্ছায় অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পূজা। অভিনেত্রী বলেছেন, “আমি ওর পরিবারকে অস্বস্তিতে ফেলতে চাইনি। হয় বিয়ে কোরো না, আর না হলে মানিয়ে নাও। এটাই মনে করতাম আমি।”
‘কামসূত্র’ বিজ্ঞাপনে কাজ করেছিলেন পূজা। বিয়ের পরে ফের কামসূত্রের বিজ্ঞাপনে কাজ করার সুযোগ এসেছিল তাঁর। পূজা বলেছেন, “বিয়ের পরে আমার কাছে ফের সেই বিজ্ঞাপনে কাজ করার প্রস্তাব এসেছিল। আট গুণ বেশি টাকার প্রস্তাব ছিল। কিন্তু আমি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিই।”
১৯৯৪ সালে ফারহানকে বিয়ে করেন পূজা। ধর্ম পরিবর্তন করে তাঁর নতুন নাম হয় নূরজাহান। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। ১২ বছর সংসার করার পরে বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছিলেন তাঁরা।