পশুদের হয়ে সওয়াল স্বাধীনতা দিবসে। ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লির পথকুকুরদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ প্রকাশ্যে আসার পরেই ফুঁসে উঠেছিলেন অভিনেত্রী রবীনা টন্ডন। অবোলা পথকুকুরদের হয়ে সওয়াল করেছিলেন তিনি। দেশের স্বাধীনতা দিবসেও সেই অবোলাদের কথাই আরও এক বার মনে করিয়ে দিলেন অভিনেত্রী। এই দিন সারা দেশ উদ্যাপনে মাতে। রবীনাও ব্যতিক্রমী নন। কিন্তু এই স্বাধীনতা যেন অবোলা পশুদের কাছেও সুরক্ষিত থাকে, আশা রাখেন তিনি।
কয়েকদিন আগেই দিল্লির বুকে পথকুকুরদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, দিল্লির পথকুকুরদের সরিয়ে নিয়ে গিয়ে কোনও আশ্রয়কেন্দ্রে রাখতে হবে। পশুপ্রেমীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন এই নির্দেশে। যে কুকুরদের সরকারি তরফে এত দিনেও টিকাকরণ ও নির্বীজকরণ করা গেল না, তাদের জন্য রাতারাতি আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি হয়ে যাবে এবং সেখানে তাদের দেখভালের ব্যবস্থাও থাকবে, আদালতের নির্দেশের পরেও তা বিশ্বাস করতে নারাজ তাঁরা। পশুপ্রেমীদের কাছে নাকি এই নির্দেশ কল্পকথার মত হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু উল্টো দিকে অনেকেই এই নির্দেশকে সমর্থন জানিয়েছেন। কেউ কেউ পশুপ্রেমীদের খোঁচা দিয়ে বলছেন, ‘এতই যখন দরদ তখন নিজেদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কুকুরদের রাখুন!’ অনেকে আবার টিকাকরণের প্রসঙ্গ উড়িয়ে দিয়ে কুকুরদের কামড়ানোর প্রবণতা নিয়ে ভয় পাচ্ছেন! এই নিয়ে তাই সমাজমাধ্যমে এখন জোর তরজা।
এই আবহে স্বাধীনতা দিবসে পশুদের স্বাধীনতার কথাও মনে করিয়ে দিলেন রবীনা টন্ডন। সমাজমাধ্যমের একটি পোস্টে তিনি লিখলেন, “এই স্বাধীনতা সবার জন্য।” রবীনার ভাগ করে নেওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি সারমেয় দাঁড়িয়ে আছে মুখে ভারতের জাতীয় পতাকা নিয়ে। মহাত্মা গান্ধীর একটি উক্তিও তিনি ভাগ করে নিয়েছেন। উক্তিটি হল, “একটি দেশ কতটা মহান ও নৈতিক ভাবে প্রগতিশীল তা বোঝা যায় সেই দেশের পশুদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হয়, তার ভিত্তিতে।” রবীনার এই পোস্টে সমর্থন জানিয়েছেন অনেকেই। আবার কেউ কেউ ছুড়ে দিয়েছেন কটাক্ষও। কুকুরের কামড়ে মৃত্যু নিয়ে অভিনেত্রীকে খোঁচা দিয়েছেন তাঁরা। তবে তার কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি অভিনেত্রী।