অভিনেত্রী রূপা ভট্টাচাৰ্য। ছবি: সংগৃহীত।
প্যাটিস-কাণ্ডের প্রতিবাদ চলছেই। ব্রিগেডে গীতাপাঠের দিন মাংসের প্যাটিস বিক্রি করার কারণে বিক্রেতাদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের দাবি, বাংলায় এই ‘বিভেদনীতি’ প্রথম। বিষয়টি নিয়ে ক্ষমাগত ক্ষোভ ছড়াচ্ছে। প্রতিবাদ জানাচ্ছেন খ্যাতনামীরাও।
রূপা ভট্টাচাৰ্য ছোটপর্দার পরিচিত মুখ। আনন্দবাজার ডট কম-এর কাছে মুখ খুলেছেন তিনি। ভাগ করে নিয়েছেন পুরনো অভিজ্ঞতা। রূপার কথায়, “আমার পুরনো পাড়ায় দুই সব্জি বিক্রেতার একজন হিন্দু, অন্যজন মুসলিম। তাঁদের মধ্যে আজও কোনও বিভেদ নেই। পারস্পরিক ভালমন্দ অনায়াসে ভাগ করে নেন তাঁরা।” অভিনেত্রীর মতে, এই স্বাভাবিকত্বে বেড়া দিতে চাইছে পদ্মশিবির। “ধর্মের জিগির তুলে ভয়ের আবহ তৈরির চেষ্টা চলছে সাধারণের মনে। এটা আমার চেনা বাংলা নয়”, বলছেন রূপা।
এর প্রভাব যদি বাংলা বিনোদনদুনিয়ার অন্দরে পড়ে? রূপার মতে, “সে দিন দাহ আর দফন একসঙ্গে ঘটবে। এর থেকে ভয়ঙ্কর আর কিছু হতে পারে না।” অভিনেত্রী সেই আশঙ্কাও উড়িয়ে দিতে পারছেন না। এই জন্যই কি দু’বছর থাকার পরে বিজেপি ছেড়ে দিলেন রূপা? “অনেক কারণের মধ্যে এটা দল ছাড়ার অন্যতম কারণ”, মৃদু হেসে দাবি রূপার।