Ratul-Rupanjana Marriage Anniversary

বয়সে ছোট রাতুল অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেন রূপাঞ্জনার কথা? বিয়ের এক বছরে ফাঁস দাম্পত্য রহস্য

কেমন আছেন রাতুল-রূপাঞ্জনা? কেমন কাটল তাঁদের এক বছরের দাম্পত্য? যা যা স্বপ্ন দেখেছিলেন তার সবটা কি পূরণ হল?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৫৮
Share:

রাতুল মুখোপাধ্যায়-রূপাঞ্জনা মিত্রের বিয়ের এক বছর। ছবি: সংগৃহীত।

বর বড় না কনে? কনের জায়গা বরের উপরে— বোঝাতে ছাঁদনাতলায় পিঁড়ি ধরে যতটা সম্ভব উপরে কনেকে তুলে ধরার চেষ্টা চলে। বাস্তবে পরিচালক রাতুল মুখোপাধ্যায় আর অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র কিন্তু তাই-ই। অর্থাৎ, কনে বরের থেকে বড়। পরিচালকের থেকে অভিনেত্রী কয়েক বছর এগিয়ে।

Advertisement

সাত বছর একত্রবাসের পর বিয়ে। বয়সে ছোট বরের সঙ্গে কেমন কাটল এক বছর? ছেলে রিয়ানের মতো রাতুলকেও কি রূপাঞ্জনা সামলান?

আনন্দবাজার ডট কম যখন ফোন করেছিল অভিনেত্রী তখন ঘরের কাজে ব্যস্ত। হাতের কাজ সামলাতে সামলাতেই ফোনে বললেন, “ছোট হোক বা বড়— আদর-যত্ন প্রত্যেকের প্রয়োজন। যত্ন না নিলে কি সম্পর্ক, ভালবাসা টেকে? ফলে, বিহানের পাশাপাশি রাতুলের যত্নও তো আমাকেই নিতে হয়। এই একটি বছরে ওদের সঙ্গে দুই পোষ্য আর দুই পরিবারের মা-বাবাদের নিয়ে বেশ ভাল আছি। এ ভাবেই গুছিয়ে সংসার করতে চেয়েছিলাম।”

Advertisement

তাঁর দাবি, বিয়ের আগেও বয়স তাঁর কাছে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। সংসার পাততে গিয়েও ভাবেননি কে বড় কে ছোট। উভয়ের মতামত, ভাবের আদানপ্রদান করতে করতেই বছর ঘুরে গেল। ছোটখাটো মতান্তর হয়েছে, অভিমানও। তখনও তাঁরা যৌথ ভাবেই মতান্তর মিটিয়েছেন। আলোচনা করেছেন। “কখনও কখনও আমিই হয়তো এগিয়েছি। রাতুলকে ভালবেসে বুঝিয়েছি। একটা বছরে বুঝলাম, সত্যিই সংসার রমণীর গুণে সুন্দর।” বিয়ের জন্মদিনে রূপাঞ্জনা তাই খুব সুন্দর করে সাজবেন, “বিয়ের লাল টুকটুকে বেনারসিটা আজ আর একবার পরব। রাতুল খুব সুন্দর হার দিয়েছে। আর শাঁখা বাঁধানো পেয়েছি। আমার আজকের সাজ এগুলোই।”

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়েও কি এই সমতা বজায় থেকেছে? না কি, বয়সের পাশাপাশি অভিজ্ঞতাতেও এগিয়ে থাকার কারণে রূপাঞ্জনার মতামতকেই মান্যতা দেন রাতুল?

অভিনেত্রীর দাবি, “বয়সে ছোট হলেই যে সে কম জানবে বা বুঝবে— এমনটা আমি অন্তত ভাবি না। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়েই উভয়ের মতামত গুরুত্ব পায়।” যেমন, উভয়ে মিলে ঠিক করেছেন, বিয়ের জন্মদিন তাঁরা রূপাঞ্জনার মা-বাবার সঙ্গে পালন করবেন। কারণ, পয়লা বৈশাখের দিন রাতুলের মা-বাবার সঙ্গে ছিলেন তাঁরা। রূপাঞ্জনার মা এ দিন মেয়ে-জামাইকে নিজের হাতে রেঁধে খাইয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement