সোহিনী সরকার। ছবি: সংগৃহীত।
২০২৪ সালে আরজি কর কাণ্ডের সময় শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য— সর্বত্র তোষামোদের নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। দুর্নীতির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমার সদ্য বিয়ে হয়েছে। আমার স্বামীকে বললাম, মা হব? কোন দেশে মা হব? আমি চাই না আমার সন্তানকে পৃথিবীতে নিয়ে এসে এ রকম দেশে রেখে দিয়ে যেতে। এই দেশে যত ক্ষণ দুর্নীতি আছে, আমি পারব না আমার সন্তানকে এই দেশে নিয়ে আসতে।”
ওই মন্তব্যের পর চারদিক থেকে বিভিন্ন ভাবে তাঁকে ক্রমাগত আক্রমণ করা হয়েছিল। সম্প্রতি, তৃণমূল মুখপাত্র তথা নবাগত অভিনেতা কুণাল ঘোষ আনন্দবাজার ডট কমকে বলেন, “যাঁরা শাসকদলকে সারা ক্ষণ কুকথা বলছেন, দেব তাঁদের মধ্যেই প্রতিভার খোঁজ পাচ্ছেন! সোহিনী আরজি কর-কাণ্ডের সময় দুম করে বলে বসলেন, এই রাজ্য নাকি সন্তানের জন্ম দেওয়ার উপযুক্ত নয়। এর পরেও ওঁকে সমর্থন করতে হবে? দেব ওঁকেও ছবিতে নিলেন।”
আনন্দবাজার ডট কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গ উঠলে সোহিনীর স্পষ্ট জবাব, “আমি কি পাগল যে এ কথা বলব? সিপিএম, তৃণমূল বলে নয়, যে লঙ্কায় আসবে সে-ই রাবণ। শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশে নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ কী? সে যদি কৃতী হয়, তাঁকে চাকরি বা পড়াশোনার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ভাবতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের রাজনীতি করতে বাধ্য করা হচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে।”
অভিনেত্রীর দাবি, তিনি শুধু শাসকদলকে বিঁধে নয়, গোটা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তিনি যোগ করেন, “বেমক্কা লিখে ছড়িয়ে দেওয়া হল, আমি নাকি বলেছি এই রাজ্যে মা হব না!”
সোহিনীর প্রশ্ন, প্রকাশ্য সমাবেশে তিনি শুধুমাত্র ‘মা হব না’ কথাটা বলবেন কেন? তাঁরই প্রশ্নের সপক্ষে যুক্তি দেন সোহিনী, “এমন যদি কোনও পরিস্থিতি হত, আমার আর শোভনের কোনও শারীরিক সমস্যা আছে, তা হলে বিষয়টা আলাদা হত।” সোহিনী জানান, মাতৃত্ব একটা বোধ, যা তাঁর মধ্যেও প্রবাহিত। তিনিও মা হতে চান। তাঁর মা হওয়া নিয়ে সমাজমাধ্যমে যে ‘বিকৃত’ তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে তা অত্যন্ত বিরক্তিকর।
মা হওয়া প্রসঙ্গে সোহিনী বলেন, “আমার যা বয়স তাতে আজ চাইলেই কাল মা হয়ে যাব, বিষয়টা এমন নয়। অবশ্যই মা হতে চাই। তবে দিন ক্ষণ এখনও জানি না। পরিকল্পনা করে কিছু হয় না, হবেও না। প্রয়োজনে দত্তক নেওয়ার জন্যও আমি প্রস্তুত।”