কী সিদ্ধান্ত শ্রীলেখার? ছবি: সংগৃহীত।
ঝামেলার শুরু ১৯ অক্টোবর থেকে। কালীপুজোর আগের দিন বহুতল আবাসনের নির্দিষ্ট একটি জায়গায় বাজি বিক্রি হচ্ছে, দেখতে পান শ্রীলেখা মিত্র। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ জানান অভিনেত্রী। পুলিশে খবর দেন তিনি। অভিযোগ পেয়ে আবাসনে পুলিশ এসেওছিল। কিন্তু তার পর থেকেই যত সমস্যার সূত্রপাত। সেই জল গড়ায় বহুদূর। নিজের ফ্ল্যাটের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ধার্য খরচ দেওয়া সত্ত্বেও তাঁকে কোনও ধরনের নিরাপত্তা এবং সুযোগসুবিধা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
প্রতি দিন সকালে আবাসনের প্রতিটি বাসিন্দার বাড়ি থেকে আবর্জনা নিয়ে যান আবাসনেরই সাফাইকর্মী। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে শ্রীলেখার বাড়ির আবর্জনা নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ অভিনেত্রীর। এমনকি আবাসনে আরও একটি নির্দিষ্ট জায়গা আছে যে খানে আবর্জনা রাখা হয়। সে খানে অভিনেত্রীর বাড়ির ময়লা রেখে আসা হলেও তা নিয়ে যাওয়া হয়নি। উল্টে অভিনেত্রী দেখেন তাঁর ফ্ল্যাটের সামনেই রাখা আছে আবর্জনা। তার পরই শ্রীলেখা সিদ্ধান্ত নেন নিজের ফ্ল্যাটের বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাবেন। প্রতিবেশীরা এতে আপত্তিও জানাননি।
শ্রীলেখা বললেন, “সিসিটিভি লাগানোয় আবাসনের ফেসিলিটি ম্যানেজার বলেছেন, আমায় আর কোনও নিরাপত্তা দেওয়া হবে না। বাজি বিক্রি নিয়ে প্রতিবাদ করায় সে দিনও তিনি হুমকি দিয়েছিলেন। আমি পুলিশ ডাকায় তাঁদের চাকরি নিয়ে নেওয়ারও ভয় দেখিয়েছিলেন। কোথা থেকে এত সাহস পান উনি? সব জানা আছে আমার।”
এই পরিস্থিতিতে আইনি পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি যোগ করেন, “আমি পুলিশ, কর্পোরেশন-সহ নানা জায়গায় জানিয়েছি। আইনি পদক্ষেপ করার চিন্তাভাবনা করছি। আমি শিল্পী মানুষ। এ রকম অশান্তি করার কোনও ইচ্ছা নেই। এর ফলে আমার শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছে। একজন মহিলা একা থাকে বলে হেনস্থা করা সহজ, তাই না!”
শ্রীলেখার মেয়ে পড়াশোনার জন্য শহরের বাইরে। টালিগঞ্জের আবাসনে অভিনেত্রী তাঁর পোষ্যদের নিয়ে একা থাকেন। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে খুবই চিন্তিত তিনি।