সৃজলা গুহ। ছবি: সংগৃহীত।
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বা পরকীয়া— এই বিষয় নিয়ে অনেকের অনেক ধরনের মত রয়েছে। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে বর্তমানে ছবি, ওয়েব সিরিজ়ও তৈরি হচ্ছে। একটা সময় এমন সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করার কথা ভাবতেও পারতেন না অনেকে। এমনই এক গল্পকে কেন্দ্র করে নতুন সিরিজ় তৈরি হয়েছে ‘বাতাসে গুনগুন’। যে সিরিজ়ে দেখা যাবে মানালি দে, সুহোত্র মুখোপাধ্যায় এবং সৃজলা গুহকে। ইদানীং সিরিজ় বা সিনেমার প্রচারের জন্য অনেক ধরনের পন্থা নেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। সেই প্রচারের স্বার্থেই ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছিলেন সৃজলা, যা পড়ে রীতিমতো ভয় পেয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। কেন? সৃজলার পোস্টে লেখা ছিল, ‘তোমার সমস্ত নিঃশ্বাসের খবর রাখি আমি। তোমার সমস্ত চলাফেরায় নজর রাখি আমি।’ লেখা পড়ে বোঝা যাবে যে, প্রেমিকের প্রতি প্রেমিকার পাগলামি বোঝাতেই এমন শব্দ খরচ করা হয়েছে।
‘বাতাসে গুনগুন’ ওয়েব সিরিজ়ে সৃজলা, সুহোত্র এবং মানালির লুক। ছবি: সংগৃহীত।
আনন্দবাজার ডট কমকে সৃজলা জানান, তাঁর চরিত্রটা ওয়েব সিরিজ়ে এমনই। এক কথায় ভয়ঙ্করই বলা যেতে পারে। অনেকেই এই কাহিনিকে ত্রিকোণ প্রেমের সংজ্ঞা দিয়েছেন। তবে, সৃজলা বললেন, “এটাকে শুধু ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনির সংজ্ঞা দিলে ভুল বলা হবে। যে পাগলামি বা ইংরেজিতে ‘অবশেসন’ দেখানো হবে সেটা দেখে রীতিমতো ভয় করবে দেখতে।” পরকীয়াকে কী ভাবে দেখেন অভিনেত্রী? তাঁর মতে, “বিয়ে হওয়ার পরেও অন্য কারও প্রতি অনুভূতি আসতেই পারে। কিন্তু কে সেই অনুভূতিকে কী ভাবে লালন করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, আমাদের নিজেদের জানতে হবে কোথায় গিয়ে লক্ষ্মণরেখা টানতে হবে। একটা সম্পর্কে জড়ালে অলিখিত কিছু নিয়ম তো নিজেদের মনেই তৈরি হয়ে যায়। সেটা মানব কি মানব না, সেটা তো সেই মানুষটার উপর নির্ভর করে।”
পল্লবীর জীবন একেবারেই প্রেমহীন। হলদিপুরের মাফিয়া অধ্যুষিত এলাকায় তাঁর বেড়ে ওঠা। ছোটবেলা থেকে অনেক ওঠা-পড়ার মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছে সে। তার কলেজেই বদলি হয়ে আসে অধ্যাপক অরিন্দম। যে চরিত্রে দেখা যাবে সুহোত্রকে। আর অভিনেতার স্ত্রীয়ের চরিত্রে দেখা যাবে মানালি দে-কে।