নতুন চরিত্রে স্বস্তিকা ছবি: সংগৃহীত।
পাড়ার দাদা। গলায় মোটা সোনার হার। তার অনেক অনুরাগী। ‘প্রোমোটার’ বললে এমনই ছবি মাথায় আসে। বদ্ধমূল সেই ধারণা ভাঙতে পর্দায় আসছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। ‘ওটিটি’র উমা বৌদি এ বার বড়পর্দার ‘প্রোমোটার বৌদি’। নেপথ্যে রয়েছেন পরিচালক শৌর্য দেব।
একই কথা অভিনেত্রীরও। প্রোমোটার বললে সে পুরুষই হবে, এমনই একটা প্রচলিত ধারণা রয়েছে। একঢাল কোঁকড়ানো চুল। চোখে হালকা কাজল। স্বস্তিকার কথায়, নব্বইয়ের দশকের বাণিজ্যিক মশলা ছবির স্বাদ আবার ফিরিয়ে দেবে এই নতুন ছবি। একদিকে যেমন সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটকের মতো পরিচালকদের নিয়ে দর্শকমহলে আলোচনা হয়, তেমনই বাংলা ছবিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অঞ্জন চৌধুরী,প্রভাত রায়, হরনাথ চক্রবর্তী, রবি কিনাগীর মতো পরিচালকদের সমান অবদান রয়েছে, দাবি স্বস্তিকার।
‘বৌদি’ শব্দের অর্থ বোঝালেন স্বস্তিকা। নিজস্ব চিত্র।
অভিনেত্রী যোগ করলেন, “মূল ধারার বাণিজ্যিক ছবি থেকেই তো আমার শুরু। এখনও শহরতলিতে গেলে ‘প্রিয়তমা’, ‘সাথীহারা’ ছবি নিয়ে আলোচনা করেন দর্শক। সেই স্বাদই এই ছবিতে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমরা। দুর্দান্ত ভাসান নাচও আছে। প্রোমোটার ভিলেনও রয়েছে এখানে।”
গল্পে দুই সন্তান, স্বামী নিয়ে স্বস্তিকার সংসার। সেই হিসাবে পাড়ার সবাই তাকে বৌদি বলে ডাকে। স্বস্তিকা বললেন, “আমার পাড়াতেও দেখেছি, মাকে সবাই বৌদি বলেই ডাকত। এখন সমাজমাধ্যমের দৌলতে ‘বৌদি’ শব্দটা কুরুচিকর ইঙ্গিতে ব্যবহার করা হয়। সেটা তো আদপে নয়! বৌদি শব্দটার মধ্যে পারিবারিক, মিষ্টি , আপন ব্যাপার আছে। এখানেও আমার চরিত্রটা ও রকমই। পেশায় প্রোমোটার। তাই নাম প্রোমোটার বৌদি।”
শুটিংয়ের ফাঁকে স্বস্তিকা। নিজস্ব চিত্র।
এই ছবি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্পই বলবে, জানালেন স্বস্তিকা। অভিনেত্রীর কথায়, ইদানীং বড়পর্দায় শহুরে সমস্যা, শহুরে গল্পের গল্পের ছোঁয়া বেশি দেখা যায়। নায়িকার মতে, “নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারেরও অনেক সমস্যা থাকে। এই শহরে নিম্নবিত্তের সংখ্যাই বেশি। তাদের জীবনে অনেক সমস্যা আছে। তবে এই কাহিনিতে বাণিজ্যিক ঘরানার গল্পের যা যা উপাদান প্রয়োজন সব আছে।”
স্বস্তিকার সঙ্গে দৃশ্য বুঝতে ব্যস্ত শ্রীমা। নিজস্ব চিত্র।
সারা শহর জুড়ে শুটিং হয়েছে এই ছবির। ছবির পরিচালক শৌর্যও ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। প্রথম কাজ। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মুক্তি পাবে স্বস্তিকার ছবি। নায়িকা বললেন, “২৭ ফেব্রুয়ারি এমন একটা তারিখ পাওয়া গিয়েছে, যেদিন বড় বাংলা, বড় হিন্দি ছবি মুক্তি পাবে না। অনেকেই এই বিষয় নিয়ে চিন্তা করেন। আমায় এসে বলেন, বড় সংস্থার ছবি মুক্তি পাবে। তখন ভাবি আমি, আর কবে বড় হব? কলকাতা এবং বাইরে সমান তালে কাজ করছি। এখনও যদি ভাবতে হয়, তা হলে সারাক্ষণ পাপারাজ্জি নিয়ে ঘুরতে হবে। আমি নিজের কাজটা মন দিয়ে করতে চাই।”
পরিবারের কোন্দল, গোয়েন্দা গল্পের বাইরে অন্য ভাবে কাহিনি বলার চেষ্টা করেছেন শৌর্য। আর সঙ্গে মারকাটারি সংলাপ। নায়িকা জানালেন, এই ছবি দেখলে তাঁর শুরুর দিনগুলোয় ফিরে যাবেন দর্শক।