চার রাজ্যে ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’-এর প্রদর্শন বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেন পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ এবং আলিয়া ভট্ট ও সিদ্ধার্থ মলহোত্রের মতো বলিউড অভিনেতারা। ২৮ অক্টোবর ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা। কিন্তু পাকিস্তানের অভিনেতা ফাওয়াদ খান আছেন বলে ‘সিনেমা ওনার্স এক্সিবিটরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া’ (সিওইএআই) সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্ণ জোহরের ওই ছবিটি চার রাজ্যে (মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্নাটক, এবং গুজরাত) দেখানো হবে না।
এই বিতর্কে টুইটারে আজ মুখ খুলেছেন অনুরাগ কাশ্যপ। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনায় সরব হয়েছেন তিনি। অনুরাগের কথায়, ‘‘গোটা পৃথিবীর উচিত আমাদের কাছ থেকে শেখা...। আমরা সমস্যা সমাধান করতে সিনেমার উপর দায় চাপাই। তার পরে সেগুলোকে নিষিদ্ধ করি। পাশে আছি কর্ণ জোহর।’’
এর পরে আরও বেশ কিছু টুইটে গত বছর প্রধানমন্ত্রীর লাহৌর সফরের সমালোচনা করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর তো ক্ষমা চাওয়া উচিত। কারণ গত বছর ডিসেম্বরে যখন কর্ণ জোহর ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’-এর শ্যুটিং শুরু করেন সেই সময়েই প্রধানমন্ত্রী লাহৌরে গিয়েছিলেন। পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের আতিথেয়তাও গ্রহণ করেছিলেন।’’ বিজেপি এই টুইটের প্রতিবাদে জানিয়েছে, এটা একেবারেই রাজনৈতিক মন্তব্য। বিদেশনীতির সঙ্গে একটি ছবিতে লাগানো পুঁজির তুলনা করছেন উনি।
ছবি মুক্তি বন্ধ করে দেওয়া অন্যায্য বলে দাবি করেছেন আলিয়া ভট্টও। আর এক অভিনেতা সিদ্ধার্থ মলহোত্র জানিয়েছেন, এটা ঠিক নয়। ছবিটা এক বছর আগে তৈরি হয়েছিল। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তখন অন্য রকম ছিল। আমি ফাওয়াদের সঙ্গে কাজ করেছি। যে কোনও পরিচালকের পক্ষে এই সিদ্ধান্ত অনৈতিক।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরের উরি সেনাশিবিরে জঙ্গি হামলার পরেই ফাওয়াদ খানকে ভারত ছাড়ার ফতোয়া দিয়েছিল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস)। তার পরে বিতর্ক আরও গড়ায়। যা নিয়ে মুখ খুলতে শোনা গিয়েছে বলিউডের আর এক অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকেও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এটা অদ্ভুত ব্যাপার। আমাদের দেশে অনেক সময়েই রাজনৈতিক বিতর্কে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জড়িয়ে ফেলা হয়। এটা কেন হবে? আমি দেশকে ভালবাসি। দেশকে সুরক্ষিত রাখতে সরকার যে পদক্ষেপ করবে, তাতে আমার সমর্থন থাকবে। কিন্তু তাই বলে অভিনেতাদের উপরে কোপ কেন? কোনও এক জন অভিনেতা-অভিনেত্রী দেখাতে পারবেন যে কারও জীবনের ক্ষতি করেছে?’’ তাঁর মতে, আসল অপরাধীদের না ধরে শিল্পীদের নিয়ে হইচই হচ্ছে!