অভিনয়ে দেখা যাবে ঐন্দ্রিলার দিদি ঐশ্বর্যকে? ছবি: সংগৃহীত।
তাঁর চোখ, ঠোঁট, মুখের গড়ন বার বার মনে করিয়ে দেয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার কথা। বোনের মৃত্যুর পর দিদি ঐশ্বর্য শর্মা আরও বেশি সক্রিয় সমাজমাধ্যমের পাতায়। আগে বোনের ছবিতেই ভরা ছিল তাঁর সমাজমাধ্যম। এখন পারিবারিক ছবির চেয়ে কাজের পোস্টই বেশি দেখা যায় ঐশ্বর্যের পাতায়। বোনের মতোই অভিনয়, নাচ, গানের শখ তাঁর। কিন্তু তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানের ছাত্রী। তাই অভিনয়ের দিকে বেশি সময় দেওয়া সম্ভব ছিল না। ঐন্দ্রিলার অনুপ্রেরণায়ই কি তবে এ বার পর্দায় দেখা যাবে তাঁর দিদিকে?
ঐশ্বর্য বললেন, “আমি আর বোন ছোটবেলা থেকেই গান, নাচ, আবৃত্তি— বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত। তার পর আমি ডাক্তারি পড়ায় মন দিই। আর বোন পুরোপুরি অভিনয়ের দিকে চলে আসে। ও আমায় বার বার বলত অভিনয় নিয়ে ভেবে দেখতে। কিন্তু তখন আমি মাস্টার্স ইন সার্জারির প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ভেবেছিলাম প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে তার পর অভিনয় নিয়ে ভাবব। কিন্তু তার দু’মাসের মাথায় বোনই তো চলে গেল।”
আগে দিল্লিতে পড়াশোনা করতেন ঐশ্বর্য। ঐন্দ্রিলার চলে যাওয়ার পর মা-বাবার একমাত্র সম্বল তিনি। তাই এখন পাকাপাকি ভাবে কলকাতায়। বিভিন্ন স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিতে অভিনয় করছেন। সমাজমাধ্যমের পাতায় যে সব ছোট গল্প তৈরি হয় সেখানে অভিনয় করেন। তিনি বলেন, “ধারাবাহিকে অভিনয়ের সুযোগ এসেছিল। নায়িকা হওয়ার কথাও বলা হয়েছিল আমায়। কিন্তু ডাক্তারির পড়াশোনা সামলে আমার পক্ষেও অভিনয় সম্ভব ছিল না।”
ঐশ্বর্যের মা-ও ক্যানসারে আক্রান্ত। চতুর্থ বার মারণরোগের কবলে পড়ে এই মুহূর্তে খুবই দুর্বল তিনি। তাই বাড়ির অনেকটাই সামলাতে হয় ঐশ্বর্যকে। তিনি বলেন, “ঐন্দ্রিলার সূত্রে অনেকের সঙ্গেই পরিচয় আছে আমার। সব্যসাচীর (চৌধুরী) সঙ্গে রোজ কথা হয়। ও আমায় অনেক সাহায্য করে। বোনের অনুপ্রেরণা না থাকলে নিজের এই দিকটা খুঁজেই পেতাম না।” আগামী দিনে ছোট পর্দায়ও তাঁকে দেখার সম্ভাবনা তাই একেবারে নাকচ করা যায় না।