ধর্মেন্দ্র দেওলের প্রতি অমিতাভ বচ্চনের শ্রদ্ধা। ছবি: ফেসবুক।
গানে গানে বার্তা দিয়েছিলেন, তাঁদের বন্ধুত্ব অমর। রুপোলি পর্দায় করা সেই প্রতিজ্ঞার মর্যাদা রাখলেন ‘জয়’। সোমবার বন্ধু ‘বীরু’ চিরবিদায় নিয়েছেন। ধর্মেন্দ্র দেওলের অন্তিমযাত্রায় অমিতাভ বচ্চন। রাতে লিখলেন, “এক অদ্ভুত শূন্যতা! চারপাশের বাতাস যেন কমে গিয়েছে।”
কখনও পুরস্কারমঞ্চে, কখনও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে— রমেশ সিপ্পির ‘শোলে’ ছবির দুই বন্ধু মুখোমুখি হলেই গাঢ় আলিঙ্গনে একে অপরকে বেঁধেছেন। এ বছর সেই ছবির ৫০ বছর। এ বছরেই জুটি ভেঙে চিরদিনের মতো হারিয়ে গেলেন এক ‘দোস্ত’।
সোমবার মধ্যরাতে স্মৃতি হাতড়ে অমিতাভ সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “আর এক স্তম্ভ চিরবিদায় নিলেন, জীবনের রঙ্গমঞ্চ ছেড়ে। অজস্র কোলাহলের মাঝে এক গভীর নিস্তব্ধতা তৈরি করে গেলেন।”
বন্ধুবিদায়ের খবর পেয়েই ছেলে অভিষেককে নিয়ে তড়িঘড়ি পৌঁছে গিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্রের কাছে। বন্ধু ‘বীরু’ অন্তিমশয্যায়। শোকস্তব্ধ ‘শাহেনশা’ চুপ করে তাকিয়ে দেখেছেন তাঁকে।
রাতের গভীরতায় তিনি উপলব্ধি করেছেন, ধর্মেন্দ্র শুধুই দীর্ঘদেহী পঞ্জাবি নন, তাঁর মনটাও ছিল আকাশের মতো উদার। পঞ্জাবের এক টুকরো মায়াঘেরা সবুজ, সারল্য আর উষ্ণতা বুকে নিয়ে ঘুরতেন। তাই রুপোলি পর্দার পরাক্রমী নায়কের হাসি শিশুর মতোই সরল। বলিউড আর সেই মাটির গন্ধ পাবে না!
ধর্মেন্দ্রের প্রয়াণ অমিতাভের মনে এক বিরাট শূন্যতার জন্ম দিয়েছে। গ্রাস করেছে তাঁকে। তিনি লিখেছেন, “এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।” ঠিক যে ভাবে ‘জয়’ আর ‘বীরু’র বন্ধুত্ব ফুরোনোর নয়। ‘ইয়ে দোস্তি হম নহি তোড়েঙ্গে’...।