পোশাক: স্বাতী সিংহ, বমবাইম; জুয়েলারি: গৌরী হিমাতসিংকা; স্টাইলিস্ট: নেহা গাঁধী; মেকআপ ও হেয়ার: প্রসেনজিৎ বিশ্বাস; ছবি: আশিস সাহা; লোকেশন: হওয়ার্ড জনসন, চিনার পার্ক
অভিনেত্রীদের ডায়েট ভাঙার দায় যদি কখনও আপনার ঘাড়ে এসে পড়ে, তার চেয়ে বড় অপরাধ কিছু নেই! আনন্দ প্লাসের জন্য শুটে এসে কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে ডায়েট ভাঙতে হল যে!
প্র: ডায়েট ভেঙে কী কী খেলেন?
উ: পনিরটা খেয়ে ফেললাম। ওটা খাওয়া উচিত ছিল না। আর এক স্কুপ আইসক্রিম। এটা ছাড়া যায় (হাসি)?
প্র: রাজা চন্দের নতুন ছবিতে চরিত্রটা কেমন?
উ: সুরিন্দর ফিল্মসের রানেদা (নিসপাল সিংহ) প্রথমেই আমাকে বলেছিলেন, চরিত্রটা চ্যালেঞ্জিং। অনেক শেড আছে। মেয়েটা এতই অন্তর্মুখী যে, প্রথম কয়েকটা দৃশ্যে আমার সংলাপ নেই। শুধু অভিব্যক্তি। আবার বাবার অনুশাসনের তোয়াক্কা না করে যখন ছেলেটির সঙ্গে সে তার সুপ্ত ইচ্ছেগুলো বাস্তবায়িত করে, তখন আবার ভীষণ কথা বলে। ‘জব উই মেট’-এর করিনার চরিত্রটির সঙ্গে মিল পাবেন। এই ছবিতেও আমার বিপরীতে বনি (সেনগুপ্ত)। আমাদের চরিত্রের নাম উত্তম-সুচিত্রা।
প্র: বনির সঙ্গেই পরপর ছবি করছেন। টাইপকাস্ট হয়ে যাচ্ছেন না?
উ: এই বিষয়ে বনির সঙ্গে আমার অনেক বারই কথা হয়েছে। আসলে আমাদের জুটি দর্শকের এত পছন্দের, তাই প্রযোজকরাও বারবার আমাদের নিচ্ছেন। আমাদের নামে ছবির ক্রেজ তৈরি হয়। শিল্পী হিসেবে সেটা আমাদের কাছে বড় পাওয়া। আর একটা ব্যাপার হল, আমার বয়সি ইন্ডাস্ট্রিতে এখন দু’জনই আছে... বনি ও অঙ্কুশ। বাকিরা বয়সে অনেকটাই বড়। আড়াই বছর হল আমি ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। প্রযোজকরা এখনও আমার ফ্রেশ লুকটাই বারবার করে দেখাতে চাইছেন।
প্র: কেরিয়ারের শুরুতেই মাল্টিস্টারার ছবিও করেছেন। অনেকের মধ্যে হারিয়ে যাওয়ার ভয় পান না?
উ: ‘কেলোর কীর্তি’র সময় আমার খুব ভাল ধারণা ছিল না, মাল্টিস্টারার ছবি কেমন হয়। এটুকু জানতাম, সকলের চরিত্রের গুরুত্বই ভাগ করে দেওয়া হবে। তবে মাঝেমধ্যে মাল্টিস্টারার ছবি করতে ভালই লাগে। যেমন ‘জিও পাগলা’র সময় ইনডোরে হোক বা আউটডোরে, আমরা চুটিয়ে মজা করেছি।
প্র: নায়িকারা কি বন্ধু হন?
উ: না (মাথা নাড়িয়ে)। আমি সকলের সঙ্গেই মিশি। তবে বনি ছাড়া ইন্ডাস্ট্রিতে আমার কোনও বন্ধু নেই।
প্র: ইন্ডাস্ট্রিতে কখনও তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে?
উ: আমার বয়সি ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ নেই। তাই আমি কোনও গ্রুপের সদস্য নই। আর ছোটখাটো ঝগড়াকে বেশি গুরুত্ব না দেওয়াই ভাল। কারণ সকলকে নিয়েই চলতে হবে। কারও সম্পর্কে নিন্দে করাতে আমি নেই। আর আমাকে নিয়ে গসিপ হোক, সেটাও চাই না।
প্র: এসভিএফের সঙ্গে কোনও ঝামেলা হয়েছে?
উ: না, ঝামেলা হয়নি। ওদের সঙ্গে শেষ ছবি করেছিলাম ‘তোমাকে চাই’। তার পর আমার কনট্র্যাক্ট শেষ হয়ে যায়। ওখান থেকেই আমার শুরু, তাই আমি ওদের সঙ্গে অবশ্যই কাজ করতে চাই। তবে এখনও পর্যন্ত ওদের প্রযোজনায় নতুন কোনও ছবিতে আমাকে কাস্ট করা হয়নি। তার কারণ অবশ্য আমি জানি না। তবে ওখানে না হলে অন্যদের সঙ্গে তো কাজ করবই।
প্র: আপনি কি পজেসিভ গার্লফ্রেন্ড?
উ: একেবারেই না (হাসি)। প্রথম দিকে হয়তো একটু ছিলাম। কারণ বনিরও তখন অনেক গার্লফ্রেন্ড ছিল। তবে আমি ওয়ান ম্যান উওম্যান। আর এখন আমাদের সম্পর্ক বিশ্বাসের যে জায়গায়, তাতে পজেসিভ হওয়ার কিছু নেই।
প্র: বলিউডে চেষ্টা করছেন?
উ: মুম্বইয়ে সিরিয়াল বা রিয়্যালিটি শো করব না। একটা অ্যাওয়ার্ড শোয়ে সম্প্রতি পারফর্ম করে বেশ প্রশংসা পেয়েছি। কয়েকটা অ্যাড শুটও করলাম। ছবি করার ইচ্ছে তো আছেই (হাসি)।
প্র: কেরিয়ার নিয়ে আপনি কি খুশি?
উ: ভাবিনি, কোনও দিন অভিনেত্রী হব। এই পেশাটাও পছন্দের ছিল না। বাবার মতো ইনকাম ট্যাক্স অফিসার হব ভেবেছিলাম। তবে এই কাজটা এখন সবচেয়ে বেশি এনজয় করি। এক সময়ে কথা বলার আগেও ভাবতাম, এখন বলতে শুরু করলে থামতে পারি না (হাসি)।