‘কিছু পেতে গেলে কিছু তো ছাড়তেও হবে’

নতুন ছবি ‘হেট স্টোরি ফোর’-এর মুক্তির আগে বললেন উর্বশী রৌতেলাআনন্দ প্লাসের সঙ্গে আড্ডায় কাস্টিং কাউচ থেকে নেপোটিজম— সব নিয়েই মুখ খুললেন নায়িকা।

Advertisement

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৮ ০১:০৬
Share:

বিউটি পেজেন্টের হাত ধরে উর্বশী রৌতেলার ইন্ডাস্ট্রিতে আসা। তবে আইটেম সংয়ের মাধ্যমেই পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। এ বার ‘হেট স্টোরি ফোর’-এ মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে উর্বশীকে। আনন্দ প্লাসের সঙ্গে আড্ডায় কাস্টিং কাউচ থেকে নেপোটিজম— সব নিয়েই মুখ খুললেন নায়িকা।

Advertisement

প্র: দু’জন নায়ক থাকা সত্ত্বেও ‘হেট স্টোরি ফোর’-এর সমস্ত পোস্টারে আপনারই ছবি। এটা কি আপনার দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে?

Advertisement

উ: হ্যাঁ, তা বলতে পারেন। এটাই আমার প্রথম হিরোইনসেন্ট্রিক ফিল্ম। ছবির ট্রেলারের ফিডব্যাক বেশ ভাল। পাশাপাশি ‘আশিক বনায়া আপনে’ গানটার রিমিক্স তো ইতিমধ্যেই সুপারহিট হয়েছে। পোস্টারে আমার ছবি ব্যবহারের সিদ্ধান্তটা ক্রিয়েটিভ টিমের। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির আগের ছবিগুলো আমার দেখা হয়নি। সেটা এক দিক থেকে ভালই। কারণ দেখলে হয়তো আরও সচেতন হয়ে যেতাম। ছবিটা নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী। কারণ, ‘হেট স্টোরি ফোর’-এর গল্প খুবই মজবুত। তা ছাড়া এখন তো ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক নারীকেন্দ্রিক ছবি হচ্ছে। প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, কঙ্গনা রানাবত, অনুষ্কা শর্মা এই ধরনের ছবিতে কাজ করছেন। আমাকে নিয়ে দর্শক ও ইন্ডাস্ট্রিতে কী প্রতিক্রিয়া হবে, সেটা অবশ্য সময়ই বলে দেবে।

প্র: বলিউডে কাস্টিং কাউচ নিয়ে অনেক কথা শোনা যায়...

উ: আমিও শুনেছি। তবে এ বিষয়ে আমার মত, কেউ অন্যায় কোনও প্রোপোজাল পেলেই সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিবাদ করা উচিত। এর মোকাবিলা করতে হবে মানসিক কাঠিন্যের মাধ্যমেই। তবে আমি কখনও এর মুখোমুখি হইনি। বিউটি পেজেন্ট জেতার পর আমি ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলাম। তাই আমার ব্রেক পেতে কখনও সমস্যা হয়নি।

প্র: মানুষী চিল্লারকে বাদ দিলে সম্প্রতি বিউটি পেজেন্টে ভারতীয়রা সে ভাবে সফল নন। এর কারণ কী মনে করেন?

উ: কারণ বলাটা মুশকিল। তবে ঠিক সময়ে উপযুক্ত প্রতিযোগী থাকলে জেতার রাস্তাটা সুগম হয়।

প্র: অভিনয় বাদে নাচেও নাকি আপনার বেশ আগ্রহ?

উ: হ্যাঁ। অনেকেই হয়তো জানেন না, আমি কোরিয়োগ্রাফও করি। ১২ ধরনের ডান্স ফর্ম আমার জানা। ভরতনাট্যম, হিপ হপ, বলরুম প্রভৃতি। হলিউডের ইয়ানিস মার্শাল নামর একজন কোরিয়োগ্রাফার হিল পড়ে নাচেন। ওঁর স্টাইল অনবদ্য। আমি সেটাই ‘আশিক বনায়া আপনে’তে ব্যবহার করেছি।

আরও পড়ুন: অন্তকালে মৃত্যু অ-রূপকথার

প্র: ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও বন্ধু রয়েছে?

উ: দেখুন, এখানে প্রকৃত বন্ধু খুঁজে পাওয়া ভীষণ কঠিন। আমার সঙ্গে সকলের ওয়র্কিং রিলেশনশিপ ভাল। কিন্তু কাজের বাইরে সে ভাবে কারও সঙ্গে সম্পর্ক নেই।

প্র: ১৫ বছর বয়স থেকে আপনি কাজ করছেন। কাজের মধ্যে কখনও ব্যক্তিগত চাওয়া- পাওয়ায় বিঘ্ন ঘটে না?

উ: হ্যাঁ, সে তো হয়ই। স্কুল-কলেজে সকলে যে আমোদ-আহ্লাদে মেতে থাকে, আমি সেই জীবনটা মিস করেছি। কিন্তু বিশ্বাস করি, কিছু পেতে গেলে কিছু তো ছাড়তেও হবে। তাই এই নিয়ে আক্ষেপ করতে চাই না।

প্র: এখন তো নেপোটিজম নিয়ে এত হইচই হচ্ছে। আপনি কখনও এর শিকার হয়েছেন?

উ: একটা ছবিতে আমাকে স্টার কিড রিপ্লেস করেছিল। যদিও সেই ছবির নাম বলতে চাই না। তবে এ সব নিয়ে আমি হতাশ নই। আমি সব সময় সামনের দিকে তাকাতে চাই। আমি নিজের কাজ নিয়ে খুশি ও গর্বিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন