২০২৬-এর ‘ফার্স্ট বয়’ অঙ্কুশ হাজরা? গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
মাত্র দুটো ছবির প্রযোজক তিনি। তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘নারী চরিত্র বেজায় জটিল’। ভেবেছিলেন, সরস্বতীপুজোয় ছবিমুক্তি ঘটাবেন। স্ক্রিনিং কমিটি ঠিক করেছে, উৎসবে তিনটির বেশি বাংলা ছবি মুক্তি পাবে না। সেই নির্দেশ মেনে অঙ্কুশ হাজরা কী পদক্ষেপ করলেন?
আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করতেই মৃদু হেসে তিনি বললেন, “আমার দ্বিতীয় ছবি মুক্তি পাবে ৯ জানুয়ারি। সম্ভবত আমার ছবিই বছরের প্রথম ছবি। একই ভাবে প্রথম বাংলা ছবিও!” ২০২৬-এর ‘ফার্স্ট বয়’ অঙ্কুশ! ‘প্রথম’ হতে ভয় করছে না? ওই সময়ে তো কোনও উৎসব বা উদ্যাপন নেই! “একটুও না। ছবি ভাল হলে এমনি সময়েও দর্শক হলে দেখতে আসেন”, দাবি তাঁর। তিনি আরও বলেছেন, “উৎসব ছাড়া ছবিমুক্তি ঘটালে দর্শক হলে আসবে না, এই ভয় টলিউডে গেঁড়ে বসেছে। সকলে আশঙ্কায় ভুগছেন। এই দলে আমিও। আমরা সারা ক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকছি। এটা তো ঠিক নয়!”
এই ভাবনা থেকেই ঝুঁকি নিয়েছেন মাত্র দুটো ছবির প্রযোজক। জানিয়েছেন, স্ক্রিনিং কমিটি উৎসবে তিনটি ছবিমুক্তির সিদ্ধান্ত নিতেই তিনি রাজি হয়ে গিয়েছেন। অঙ্কুশের সামনে উদাহরণ কোয়েল মল্লিকের ‘স্বার্থপর’। যুক্তি দিয়েছেন, “ছবিটি দীপাবলিতে মুক্তি পেলেও ব্যবসা করেছে তার পরে। এটাই ঝুঁকি নিতে সাহস জুগিয়েছে।” আবার প্রতীম ডি গুপ্তের ‘রান্নাবাটি’ দর্শক-সমালোচক প্রশংসিত হলেও ভাল শো এবং প্রেক্ষাগৃহ না পাওয়ায় ভাল বাণিজ্য করতে পারল না, পরিচালকের এমনই অভিযোগ।
অঙ্কুশ এই শঙ্কাকেও আমল দিচ্ছেন না। সপাট বলেছেন, “হলমালিক, পরিবেশকদের সঙ্গে কথা বলেছি। ছবি ভাল চললে পরের বড় বাজেটের ছবির জন্য আমায় যেন বঞ্চিত করা না হয়।” স্ক্রিনিং কমিটির বৈঠক অনুযায়ী ২৩ জানুয়ারি মুক্তি পাবে এসভিএফের ‘কাকাবাবু’, উইন্ডোজ় প্রযোজনা সংস্থার ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’, রাজ চক্রবর্তীর ‘হোক কলরব’। অঙ্কুশ কি এই তিনটি ছবিকে প্রচ্ছন্নে বিঁধলেন?