সলমনকে খোঁচা অশ্নীরের। ছবি: সংগৃহীত।
সলমন খানকে ফের খোঁচা দিলেন অশ্নীর গ্রোভার। গত বছর ‘বিগ বস্’-এর মঞ্চ থেকে শুরু হয়েছে দু’জনের মধ্যে বাগ্যুদ্ধ। বছর ঘুরলেও এখনও থামেনি বচসা।
‘বিগ বস্ ১৯’-এ নাকি ‘ওয়াইল্ড কার্ড’-এর মাধ্যমে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে উদ্যোগপতির কাছে। নিজেই জানিয়েছেন অশ্নীর। ই-মেল মারফত সেই প্রস্তাব গিয়েছিল অশ্নীরের কাছে। সেই ই-মেলের প্রতিচ্ছবিও সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নেন তিনি। তবে সেই প্রতিচ্ছবির সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সেই প্রতিচ্ছবি ভাগ করে নিয়ে সলমনকে খোঁচা দিয়েছেন অশ্নীর। তাঁর দাবি, আগে সলমনের কাছ থেকে অনুষ্ঠানের নির্মাতাদের অনুমতি নেওয়া উচিত। অশ্নীর লিখেছেন, “হাহা! আগে সলমন ভাইকে জিজ্ঞেস করে নে। আমি মনে হয় তত ক্ষণে ফাঁকা হয়ে যাব।”
‘বিগ বস্’-এর আদলেই একটি অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করছেন অশ্নীর। অনুষ্ঠানের নাম ‘রাইস অ্যান্ড ফল’। ‘বিগ বস্’-এর সময়েই এই অনুষ্ঠান অন্য একটি চ্যানেলে দেখানো হয়। সেই রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস্’-এর কাছে প্রতিযোগিতা হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন উদ্যোগপতি। আর তাই নাকি ‘বিগ বস্’-এর নির্মাতারা তাঁকে যোগ দিতে ডাকছেন। অশ্নীরের অনুমান, সলমন এখনও জানেন না, তাঁকে ‘বিগ বস্ ১৯’-এ আসার প্রস্তাব দিয়েছেন কাস্টিং ডিরেক্টর। জানতে পারলে কাস্টিং ডিরেক্টর-এর চাকরি যেতে পারে বলেও খোঁচা দিয়েছেন তিনি।
সলমন ও অশ্নীরের মধ্যে সমস্যার সূত্রপাত কী ভাবে? কিন্তু, ঠিক কী হয়েছিল? ২০১৯ সালে তাঁর সংস্থার মুখ হিসাবে সলমন খানকে নেওয়া হয়। এই বিষয়ে অশ্নীর দাবি করেছিলেন, সলমন খান নাকি ৭.৫০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক চেয়েছিলেন। কিন্তু অশ্নীর কথা বলার পরে নাকি তিনি ৪.৫০ কোটি টাকা পারিশ্রমিকে রাজি হন। এই বিষয় নিয়ে ‘বিগ বস্’-এর খোলা মঞ্চে অশ্নীরকে একহাত নিয়েছিলেন সলমন খান। ভাইজান বলেছিলেন, “আমি একটি ভিডিয়ো দেখেছি। আপনি দাবি করেছিলেন, আমার সঙ্গে নাকি নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময় চুক্তি হয়েছে। এগুলো তো একটাও সত্যি নয়। এই ধরনের মিথ্যাচার করা তো ঠিক নয়।”