শাহরুখ-আরিয়ানের বিরুদ্ধে করা আবেদন খারিজ করল আদালত। ছবি: সংগৃহীত।
‘দ্য ব্যাড্স অফ বলিউড’ দেখে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে আরিয়ান খানের সিরিজ়ে। শাহরুখ খান, গৌরী খান ও আরিয়ানের বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকার মানহানির মামলাও করেন তিনি। কিন্তু এই মানহানি মামলার কতটা গ্রহণযোগ্যতা আছে, তা নিয়ে দিল্লি হাই কোর্ট পাল্টা প্রশ্ন করে সমীরকে। পাশাপাশি, এই আবেদন খারিজও করে দেয় আদালত। দিল্লি হাই কোর্ট জানায়, এই ঘটনার সূত্রপাত বা কারণ দিল্লিকে ঘিরে নয়, তাই এই মামলা দিল্লিতে কার্যকর নয়।
সমীর তাঁর আবেদনে শাহরুখ-গৌরীর প্রযোজনা সংস্থা এবং নির্দিষ্ট ওটিটি মঞ্চের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করতে বলেন। প্রাক্তন এনসিবি আধিকারিক দিল্লি হাই কোর্টের কাছে তাঁর আবেদনে বলেছিলেন, “মাদকবিরোধী সংস্থার বিরুদ্ধে এই ওয়েব সিরিজ় খুবই নেতিবাচক এবং ভিত্তিহীন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির উপরেও মানুষের আস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করেছে এই সিরিজ়।” সমীরের দাবি, তাঁর ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার উদ্দেশ্য নিয়েই এই সিরিজ়টি তৈরি করা হয়েছে।
আরিয়ানের সিরিজ়ে কোথাও সমীরের নাম উল্লেখ করা হয়নি। এক এনসিবি আধিকারিকের চরিত্রকে দেখানো হয়েছে ব্যঙ্গ করে। চরিত্রের কোনও নাম রাখা হয়নি সিরিজ়ে। তবে নেটাগরিক মনে করেছেন, এই চরিত্রের সঙ্গে সমীরের চেহারায় মিল রয়েছে। কিন্তু তা প্রমাণ করা যায় কী ভাবে? প্রশ্ন উঠেছিল। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি পুরুষেন্দ্র কুমার কৌরব এই আবেদনের ভিত্তিতে শুক্রবার কিছু প্রশ্ন করেন সমীরকে। তাঁর মূল প্রশ্ন ছিল, দিল্লিতে এই মানহানির মামলার কতটা যৌক্তিকতা আছে?
ওয়াংখেড়ের আবেদনে এ-ও জানানো হয়, ওই সিরিজ়ে এমন একটি চরিত্র দেখানো হয়েছে, যে ‘সত্যমেব জয়তে’ বলার পরে মধ্যমা দেখায়। ‘সত্যমেব জয়তে’ দেশের জাতীয় প্রতীকের অংশ। এই দৃশ্যে ১৯৭১-এর ‘জাতীয় সম্মানের প্রতি অবমাননা প্রতিরোধ আইন’ (দ্য প্রিভেনশন অফ ইনসাল্টস টু ন্যাশনাল অনার অ্যাক্ট) লঙ্ঘিত হয়েছে। কিন্তু এই আবেদনেও দিল্লি হাই কোর্ট মান্যতা দেয়নি।