‘চিরসখা’ ধারাবাহিকের নতুন কাহিনিকে কেন্দ্র করে বিতর্ক। ছবি: সংগৃহীত।
‘প্লুটো’র মৃত্যুর দায় কার? ‘চিরসখা’ ধারাবাহিকের নতুন গল্পকে কেন্দ্র করে দর্শকের মনে নানা প্রশ্ন। মায়ের চাপে পড়েই কি এই পরিণতি? ছেলেকে নিজের মতো করে বড় করেছিল অনন্যা। প্লুটোর বেড়ে ওঠা, ভাবনা-চিন্তা সবকিছুই তার মায়ের দ্বারা প্রভাবিত। কিন্তু সে যে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে, তা ভাবতে পারেনি অনন্যা। অন্য দিকে, দর্শকের একাংশ আঙুল তুলছে মিঠির দিকে। আবার কেউ কেউ বলছে, মৌ সব কিছু জেনে কেন এগোল প্লুটোর দিকে! গত তিন দিনে এরকম অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে ধারাবাহিকের অভিনেতাদের। মিঠি না মৌ — কে ঠিক? দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে ভক্তরা। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কী বলল ছোটপর্দার দুই চরিত্র?
যে কোনও বাচ্চার ভাল ভাবে বেড়ে ওঠার নেপথ্যে থাকে সঠিক পরিবেশ। ছোটবেলায় বাড়ির পরিবেশ যদি ঠিক না হয়, তা হলে তা সন্তানের মানসিক বিকাশে অনেক ভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। মৌ মনে করে, তাকে যে ভাবে তার মা-বাবা বড় করেছে, সেখানে নিজের কথা ছাড়া অন্যের কথাও যে ভাবতে হয়, সেই মানসিকতা তৈরি হয়নি তাঁর। মৌ-এর চরিত্রে রয়েছেন অভিনেত্রী রোশনি ভট্টাচার্য। তিনি বললেন, “ছোটবেলা থেকে মিঠির সঙ্গে তুলনা টেনেই মৌকে বড় করেছে বাবা। মায়ের ভালবাসা পেলেও, সব সময় তাকে বলা হয়েছে মিঠি সেরা। সেই মানসিকতা থেকে সম্ভবত মৌ মনে করেছে প্লুটো কেন ওকে ভালবাসবে না?” এই পরিস্থিতিতে মৌ যেমন আচরণ করেছে, তা সঠিক বলেই মনে করছেন রোশনি।
গল্পে দেখানো হচ্ছে মিঠি, প্লুটো এবং মৌ একসঙ্গে বড় হয়েছে। সেখানে প্রেমের চেয়েও বেশি ছিল বন্ধুত্ব। বড় হওয়ার সঙ্গে সমীকরণ বদলেছে। প্লুটো চলে যাওয়ার পরে, মিঠি মনে করে একটু বেশিই কঠিন হয়েছিল সে। মিঠির চরিত্রে ঐশী ভট্টাচার্যের কথায়, প্লুটোকে আরও বেশি বোঝা উচিত ছিল মিঠির। তা হলে হয়তো এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হত না। এই ঘটনার পর কমলিনীকেও অনেক কথা শুনতে হচ্ছে অনন্যার কাছে। কমলিনীর চরিত্রে অপরাজিতা ঘোষ বললেন, “সন্তানশোক বড় ব্যাপার। তাই অনন্যা যাই বলুক না কেন, এখন তা গুরুত্ব দিলে চলবে না।” কিন্তু দর্শকের দাবি, প্লুটো যেন ফিরে আসে। অনুরাগীদের কথা শুনে কি আবারও ফিরে আসতে পারে প্লুটো? সেই প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে।