কী বললেন নুসরতের আইনজীবী? ছবি: সংগৃহীত।
আপাতত জেল হেফাজতে ঠাঁই হল খুনের চেষ্টার অভিযুক্ত বাংলাদেশি অভিনেত্রী নুসরত ফারিয়ার। সোমবার সকাল ১০টার পর জেল হাজত থেকে নায়িকাকে আদালতে তোলা হয়। তাঁর মাথায় ছিল পুলিশের হেলমেট, পরনে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। মহিলা পুলিশের কড়া পাহারায় কাঠগড়ায় তোলা হয় নুসরতকে। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদালতকক্ষে দেওয়ালের দিকে মুখ করে ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন নায়িকা। পরে এক আইনজীবী অভিনেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর পরে অভিনেত্রীকে ইশারায় কথা বলতে দেখা যায়। তখনই এজলাসে আসেন বিচারক সারাহ ফারজানা হক। শুনানিতে নায়িকার আইনজীবীর দাবি, খুনের ওই ঘটনার সময় নুসরত দেশে ছিলেন না।
‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুসারে, এই মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন গত বছর ১৯ জুলাই ঢাকার ভাটারা অঞ্চলে গুলিবিদ্ধ হন এনামুল হক নামের ব্যক্তি। গত ৩ মে ওই ব্যক্তি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই মামলার বয়ান রেকর্ড করা হয়।
এ দিন শুনানির শুরুতে নায়িকার আইনজীবী মহম্মদ ইফতেখার হাসান আদালতে বলেন, “আমার মক্কেল এক জন সুপরিচিত অভিনেত্রী। তাঁর পেশা অভিনয়। তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। যে মামলায় নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে সেই ঘটনা ঘটেছিল ২০২৪ সালে ১৯ জুলাই। কিন্তু তখন তো তিনি দেশেই ছিলেন না। সেই ঘটনার সময় যে তিনি বিদেশে ছিলেন তার সপক্ষে প্রমাণ রয়েছে।” বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সমাজমাধ্যমের পাতায় অনেক লেখালেখি করেছিলেন নায়িকা। কিন্তু উক্ত ঘটনার সময় নায়িকা ছিলেন কানাডায়, দাবি নুসরতের আইনজীবীর। গত বছর ১৪ অগস্ট তিনি দেশে ফেরেন। প্রামাণ্য নথি হিসেবে নায়িকার আইনজীবী এ দিন পাসপোর্ট এবং ভিসার কাগজপত্র আদালতে জমা দিয়েছেন।