হিরো আলম। ছবি: সংগৃহীত।
এই বারের উপনির্বাচনে তিনি কোনও ভাবেই হেরে যেতে রাজি নন। ঢাকা ১৭ আসনের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর হাই কোর্টে আবেদন করবেন বলে ঠিক করেছিলেন হিরো আলম। তবে হাই কোর্ট অবধি আর যেতে হল না। তার আগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। নির্বাচন কমিশনে করা আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এই শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজি হাবিবুল আউয়াল-সহ অন্য কমিশনারেরা উপস্থিত ছিলেন। হিরো আলমের পক্ষে আপিল শুনানিতে অংশ নেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান।
আনন্দবাজার অনলাইনকে আলম বলেন, “আমি শেষ দেখেই ছাড়তাম। ২৬ জুন থেকে ভোট প্রচারে বেরোবো। সব মানুষের কাছে যাব। ভোটারদের কাছে যাব ভোট চাইতে। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে চাই আমি। ফারুক ভাই (আকবর হোসেন পাঠান ফারুক) মারা যাওয়ার পর তাঁর অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করতে চাই।”
রবিবার ১৮ জুন ছিল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের শেষ দিন। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটারের সমর্থন না থাকায় বাতিল হয়েছিল হিরো আলমের মনোনয়নপত্র। ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশের ইউটিউবার। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ঢাকা ট্রিবিউন সূত্রে খবর, আলম-সহ আরও আট জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল। তার পরেই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশি ইউটিউবার। বিভিন্ন কারণে বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন আলম। আগে এক বার নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি কিন্তু সে বার পরাজিত হয়েছিলেন। তবে এ বার কোনও ভাবেই হারতে চান না আলম।