ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে তাঁর চারটি ছবি। ‘আলো’, ‘আহা রে’, ‘আমার লবঙ্গলতা’। ‘আহা রে’-তে তিনি নায়ক হয়েছিলেন। কিন্তু সেটা খুব অল্প সময়ের জন্য। “চতুর্থ ছবিতে এসে ঋতুদির বিপরীতে ভাল ভাবে অভিনয়ের সুযোগ পেলাম।” প্রকাশ্যে এসেছে অনিলাভ চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম ছবি ‘বেলা’য় ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের ‘লুক’। নামভূমিকায় ঋতুপর্ণা। পর্দায় তাঁর স্বামীর চরিত্রে ভাস্বর। একসঙ্গে অভিনয়ের কথা বলতে গিয়েই অতীত সামনে আনলেন আবার। আনন্দবাজার ডট কমকে বললেন, “ঋতুদি অভিনয়ে বাঁচেন, চোখের সামনে দেখলাম। তখন ওঁর মা অসুস্থ। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। সারাদিন দিদি শুটিং করতেন। রাত ১১টা, সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। তার পর নিয়ম করে মাকে দেখতে যেতেন।”
বেলা দে বাঙালির অন্দরমহলের আবেগ। তাঁর লেখা রান্নার বই বা আকাশবাণীতে মহিলাদের জন্য তাঁর বিশেষ অনুষ্ঠান সেই সময়ে প্রত্যেক বাড়িতে রেডিয়োয় সম্প্রচারিত হত। শুরু থেকেই কি বেলা এরকমই ছিলেন? শোনা যায়, তাঁর উত্থানের পিছনে তাঁর চিকিৎসক স্বামী হীরেন দের যথেষ্ট অবদান ছিল। সেই চরিত্রে ভাস্বর। নিজের কাজ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “হীরেন দে বিদেশে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্ত্রীর জীবনে ওঁর প্রভাব গভীর। আমার চরিত্র সম্বন্ধে খুব বেশি জানা যায় না। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে ছোটবেলা ফিরে পেলাম।”
ভাস্বর তখন খুব ছোট। বাড়িভর্তি বাবা, কাকা। আজও অভিনেতার মনে পড়ে, ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের খেলা হলেই নির্দিষ্ট সময়ে রেডিয়োর সামনে গোটা বাড়ি। একটু বড় হওয়ার পরে তিনি নিজেও গানের অনুষ্ঠান, নাটক শুনতেন। “এই ছবি ওই সময়কে খুব সুন্দর করে তুলে ধরছে”, বললেন অভিনেতা। বেলা দে খুব ভাল রান্না করতেন। ঋতুপর্ণাও খাওয়াতে ভালবাসেন... কথা থামিয়ে দিয়ে অভিনেতা জানালেন, নায়িকার নিজের হাতে রেঁধে খাওয়ানোর মানসিক অবস্থা তখন ছিল না। তবে নানা স্বাদের খাবার তিনি কিনে এনে সবাইকে খাইয়েছেন।