বিগ বসের ঘরে নয়া টুইস্ট। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
বিগ বসের ঘরে জমজমাট খেলা। নাটকীয় মোড়ে এ বার কালো কুঠুরির শাস্তি। এ বারের সিজনে শুধু কালো কুঠুরিই নয়, রয়েছে অবভ্য আচরণের শাস্তি দিতে জেলের বন্দোবস্তও।
বৃহস্পতিবার প্রতিযোগীদের ঘুম ভেঙেছিল ‘খলবলি হ্যায় খলবলি’ গানে। আসলে, এই গানের কথাতেই যে আভাস দেওয়া ছিল তা বোধ হয় বুঝতে একটু দেরি করে ফেলেছিলেন হিতেন-হিনা-আরশি-শিল্পা-বিকাশরা।
বিগ বসের ঘরে ‘রি-এন্ট্রি’র পর প্রিয়ঙ্ক শর্মার আচরণে নাকি আমূল পরিবর্তন হয়েছে। অন্তত বিকাশ গুপ্তর এমনটাই দাবি। তিনি জানিয়েছেন,প্রিয়ঙ্ক এখন বেশ ‘স্মার্ট’। গেমপ্ল্যান করেই এগোতে চাইছেন। আসলে হাউজের অন্দরে ‘গ্রুপিজম’-এর অভিযোগ প্রথম প্রিয়ঙ্কই তুলেছিলেন। অভিযোগের তির ছিল বিকাশের দিকে।
আরও পড়ুন, বিগ বসের ঘরে কেন শিল্পাকে ব্ল্যাকমেল করছেন বিকাশ?
আরও পড়ুন, আলিয়াকে কিছুতেই ক্ষমা করলেন না ক্যাটরিনা!
এ বার আসা যাক, কালো কুঠুরির পর্বে।
এ দিন বিগ বস প্রতিযোগীদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, দুই প্রতিযোগীকে বেছে নিতে। যাঁদের কালো কুঠুরিতে পাঠাতে চান হাউজমেটরা। আর এ দিনই বিগ বস প্রথম জানান, কালো কুঠুরিতে নাকি মাত্র দু’বার খাবার খাওয়ার সুযোগ পাবেন প্রতিযোগীরা।
শিল্পা-বিকাশের ঝগড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই আঁচ করা গিয়েছিল এই দু’জনকেই ভোট করা হবে। তবে বহু তর্ক-বিতর্ক-আলোচনা-সমালোচনার পর কালো কুঠুরিতে যাওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয় বিকাশ গুপ্ত এবং মেহজবিন সিদ্দিকির নাম। আর এখানেই আসে প্রথম টুইস্ট। সেই মুহূর্তেই বিগ বস হাউজ ক্যাপ্টেন লভ ত্যাগীকে একটি বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ দেন। আরও এক প্রতিযোগীকে কালো কুঠুরিতে পাঠানোর সুযোগ পেয়ে লভ অবশ্য বেছে নেন আরশি খানের নাম।
বিকাশ গুপ্ত কালো কুঠুরিতে যাওয়ায় তাঁকে আক্রমণ করতে ভোলেননি শিল্পা শিন্ডে। পরে কনফেশন রুমে গিয়ে খেলা ছেড়ে দেওয়ার কথাও জানান বিকাশ। তবে বিগ বসের কোনও এক কথায় আপাতত সেই পরিকল্পনা থেকে শতহস্ত দূরে বিকাশ।